সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়?

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা আধুনিক রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল্যায়ন করো। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়? টমাস হবসের রাষ্ট্র দর্শন : সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের সমাপ্তি হয় রাজা পঞ্চম চার্লসের শিরচ্ছেদের মাধ্যমে যা 'পিউরিটান বিপ্লব' নামে পরিচিত। এই বিপ্লব এবং পরবর্তীকালের টমাস ক্রমওয়েলের প্রজাতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করার প্রেক্ষাপটে টমাস হবস লেখেন 'লোভিয়াথান' গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি রাজতন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রী সরকারের দোষ ত্রুটি তুলে ধরে যে নতুন রাষ্ট্রদর্শনের জন্ম দিয়েছিলেন তাই টমাস হাবসের রাষ্ট্রদর্শন নামে পরিচিত। টমাস হবস এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল প্রতিপাদ্য বিশ্লেষণ করলে তার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় : - টমাস হবসের রাষ্ট্রদর্শনের মূলকথা (বৈশিষ্ট্য) : ১) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের ধারণা: টমাস হবস তাঁর ‘লেভিয়াথান’ গ্রন্থে লিখেছেন, i) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের নৈরাজ্য: প্রাচীন রাষ্ট্রহীন প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ ছিল স্বভাবগতভাবেই স্বার্থপর ও আগ্রাসী। সেখানে মানুষ ঈশ্বরের চে...

জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য Differences between Janapada and Mahajanapada জনপদ ও মহাজনপদগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ বিশ্লেষণ করলে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এগুলো হল - ১) সময়কাল : প্রাচীন আর্য উপজাতিদের বাসভুমিকে জন বলা হয়। এগুলোই খ্রিষ্টপুর্ব ১০০০-৬০০ অব্দের মধ্যে জনপদে পরিণত হয়। কিন্তু মহাজনপদগুলো গড়ে ওঠে খ্রিস্টপুর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর (৬০০) পরবর্তীকালে। ২) উদ্ভবের কারণ : লোহার ব্যবহার ও কৃষির বিকাশের সাথে সাথে জনপদগুলোর বিকাশ ঘটে।  কিন্তু জনপদগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক সংঘর্ষ ও একাধিক জনপদের পারস্পরিক সংযুক্তির মাধ্যে দিয়ে মহাজনপদের উদ্ভব হয়। ৩) আয়তন ও জনসংখ্যা : জনপদগুলোর আয়তন ছিল ক্ষুদ্রাকার ও জনসংখ্যা ছিল খুবই অল্প। গ্রিসের নগররাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করা যায়।  অন্যদিকে, মহাজনপদগুলোর আকৃতি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং জনসংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ৪) সম্পদ : জনপদের প্রধান সম্পদ ছিল গবাদি পশু।  অপরদিকে, মহাজনপদ সৃষ্টির পর কৃষির ব্যপক বিকাশ ঘটলে গরুর পাশাপাশি কৃষিজমি ও কৃষিপণ্য সম্পদ হ...

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো।

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো। মহাজনপদ ও মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য  What is Mahajanapada? Briefly write the characteristics of Mahajanapada. মহাজনপদ কী : 'মহা' অর্থ বৃহৎ। 'জনপদ' কথার অর্থ 'নির্দিষ্ট ভূখণ্ডসহ জনসমষ্টি। অর্থাৎ  ক্ষুদ্র রাজ্য। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে ভারতে উপজাতি গোষ্ঠীভিত্তিক ছোট ছোট জনপদ গড়ে উঠেছিল। এই জনপদ গুলি পরস্পরের ভূখণ্ড দখল করার তাগিদে নিজেদের মধ্যে সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত থাকতো। এই সংঘর্ষে জয় পরাজয়ের সূত্র ধরেই উত্তর ভারতে একাধিক জনপদ সংযুক্ত হয়ে যেত। ফলে বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যের জন্ম হয়। এই ধরনের বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যগুলি ' মহাজনপদ' নামে পরিচিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর তিনটি উল্লেখযোগ্য মহাজনপদের নাম হলো মগধ (রাজতান্ত্রিক), বৃজি ও মল্ল (প্রজাতান্ত্রিক)। মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য : এই মহাজনপদগুলির ভৌগোলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।           ১) উত্তর ভারত কেন্দ্রিক অবস্থান :   ডক্টর হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মতে, মহাজনপদ গুলির অধিকাংশের অবস্থ...

জনপদ কী? প্রাচীন ভারতে জনপদ গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করো।

জনপদ কী? কীভাবে প্রাচীন ভারতে জনপদের উৎপত্তি হয়? জনপদ কী : 'জন' শব্দের অর্থ উপজাতি বা জনগোষ্ঠী। 'পদ' শব্দের অর্থ পা। চার্লস ল্যানম্যান -এর মতে, নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠী যখন কোন নির্দিষ্ট কোন ভৌগোলিক এলাকায় বসতি গড়ে তোলে তখন সেই ভৌগোলিক এলাকাকে  'জনপদ' বলে। কৌটিল্য জনপদ বলতে  নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও জনসমষ্টিকে বুঝিয়েছেন। এই জনপদে একদিকে থাকবে বিচক্ষণ উচ্চবর্ণের মানুষ বা প্রভু। অন্যদিকে থাকবে - ১) পর্যাপ্ত পরিমাণ উর্বর জমি এবং ২) সেই ভূখন্ডে থাকবে প্রচুর পরিশ্রমী কৃষক যাদের কর প্রদানের চাপ ও শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে।  জনপদ গড়ে ওঠার কারণ (পটভূমি) : আর্যদের আগমন : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে প্রবেশ করে। এর ছিল যাযাবর প্রকৃতির । কারণ, পশু খাদ্যের সন্ধানে তারা বসবাসের জায়গা পরিবর্তন করত। তবে তারা গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন যাপন করত। তাই এদের 'জন' (জনগোষ্ঠী বা উপজাতি) বলা হত।  জনসংখ্যা বৃদ্ধি : সপ্ত সিন্ধু এলাকায় উর্বর ভূমির কল্যাণে আর্যদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রবণতা বাড়ে। ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রমশ তারা অর্ধ-যাযাবর জীবনে ...

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি বর্ননা করো।

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি Describe-the-reasons-or-background-for-the-development-of-city-states-in-ancient-Greece পলিস শব্দের অর্থ ' নগররাষ্ট্র '। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকে মধ্যবর্তী সময়ে গ্রিসে প্রায় ১৫০০ টি ছোট ছোট রাষ্ট্র বা সিটি স্টেট গড়ে ওঠে। এগুলির যাবতীয় কাজকর্মে নাগরিকরাই প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্ৰহণ করত। এই ছোট রাষ্ট্রগুলো পলিস বা নগর-রাষ্ট্র নামে পরিচিত। যেমন - এথেন্স, স্পার্টা ইত্যাদি। নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সামনে আসে।  ১) বৈদেশিক আক্রমণ ও  অক্টোপলিস  : আনুমানিক ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীকরা বৈদেশিক আক্রমণের ভয়ে গ্রিসের বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে শক্তিশালী কেন্দ্র গড়ে তোলে। এগুলো 'অক্টোপলিস' নামে পরিচিত। এই অক্টোপলিসকে কেন্দ্র করে ক্রমশ নগর গড়ে ওঠে এবং এই নগরকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে নগররাষ্ট্র বা পলিস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।  ২) স্থানীয় বাজার : আস্তে আস্তে এই  'অক্টোপলিস'গুলোর কাছেই স্থানীয় বাজার গড়ে উঠতে থাকে।...

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

প্রাচীন, মধ্য ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য বাংলা 👉 English অথবা,  প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে তুলনা করো।

মধ্যপ্রস্তর যুগ বলতে কোন সময়কালকে বোঝানো হয়? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো

'মধ্যপ্রস্তর যুগ' ও তার বৈশিষ্ট্য প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্ব ( ১৫ হাজার বছর আগে ) থেকে হোলোসিন যুগের সূচনা পর্ব ( ১০ হাজার বছর ) পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বলে। অন্যভাবে বলা বলা যায়, খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে 'মধ্য প্রস্তর যুগ' বলা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ ১) সময়কাল : মধ্য প্রস্তর যুগ খ্রিষ্টপুর্ব ১৫ হাজার বছর থেকে ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২) হাতিয়ার :  এই যুগের ( মধ্য প্রস্তর যুগ ) হাতিয়ারগুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ছোটো ছিল। পাথর ছাড়া জীবজন্তুর হাড়, দাঁত ইত্যাদিও হাতিয়ার তৈরিতে ব্যবহার করা হত। ৩) জীবিকা ও জীবনযাপন : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। এবং জীবনযাত্রা ছিল অর্ধ যাযাবর প্রকৃতির। ৪) কৃষিকাজ : যুগের শেষ পর্বে মানুষ কৃষিকাজের সূচনা করে। ৫) পোষাক :  মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মত গাছের ছাল ও পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানাত। তবে এই পোশাক আগের চেয়ে উন্নতমানের ছিল। ৬) যানবাহন : এই ...

প্রাচীন প্রস্তর বলতে কী বোঝ? প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে (৫০ হাজার - ১৫ হাজার আগে) পৃথিবীতে প্রায়-মানুষেরা ( হোমো ইরেক্টাস)  পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহারকারী মানুষের সময়কালকে (যুগকে) 'প্রাচীন প্রস্তর যুগ' বলা হয়। প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল : প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন প্রস্তর  যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই যুগের মানুষ বিভিন্ন ধরণের পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই পর্বের মানুষ পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই যুগের শেষ দিকে মানুষ তীরধনুক আবিষ্কার করে। এই পর্বের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত পশু শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মাছ ধরে। এই সময় মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই তারা কাঁচা মাংস খেত। মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। অর্থাৎ তাদের ...

হাতিয়ারের ক্রমোন্নতির ভিত্তিতে পাথরের যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রস্তর (পাথরের) যুগের শ্রেণি বিভাগ প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে আধুনিক মানুষের ( হোমো স্যাপিয়েন্স) আবির্ভাব হয়। এদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটে। ফলে তারা পাথরকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শেখে। তাই এই যুগকে প্রস্তর যুগ বলা হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এই হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি লক্ষ করে এই যুগকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। যথা ঃ ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ ২) মধ্য প্রস্তর যুগ ৩) নব্য (নতুন) প্রস্তর যুগ।

হোমো স্যাপিয়েন্স কাদের বলা হয়? হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

হোমো স্যাপিয়েন্স 'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'।  হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে  হোমো স্যাপিয়েন্স  বা  আধুনিক মানুষ  বলা হয়। উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব। হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ এই প্রজাতির মানুষের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে। হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে এদের আবির্ভাব হয়। এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি। এই আয়তনের কারণে এই প্রজাতির মানুষের বৌদ্ধিক উন্নতি লক্ষ করা যায়। তাই এদের নাম হয়  হোমো স্যাপিয়েন্স বা  বুদ্ধিমান মানুষ । এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শীতা অর্জন করে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও চাহিদা পূরণের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে। এই ক্ষমতার কারনেই তারা সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সর্বপ্...

হোমো স্যাপিয়েন্স কী? এই প্রজাতির বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে লেখ।

হোমো স্যাপিয়েন্স ও বৈশিষ্ট্যগুলো 'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'। হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষ বলা হয়। উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব। হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ ১) এদের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে। ২) এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন,  সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন,  ৪) মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি,  ৫) সোজা হয়ে হাঁটতে পারত,  ৬) পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শী ছিল, এবং  ৭) আগুনের ব্যবহার জানত। -------x-------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ ১)  হোমো স্যাপিয়েন্স কাদের বলা হয়? হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো । (প্রশ্নের মান - ৮)

প্লেইস্টোসিন যুগের সময়কাল লেখো। এই যুগটি কোন পাথরের যুগের সমসাময়িক?

প্লেইস্টোসিন যুগের সময়কাল এবং এই যুগটি কোন পাথরের যুগের সমসাময়িক? আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং প্রায় ১০ হাজার বছর পুর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  প্লেইস্টোসিন যুগ  বলে। পৃথিবীতে প্লেইস্টোসিন যুগের প্রথম ভাগে আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষদের প্রজাতির আবির্ভাব হয় এবং শেষভাগে হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়। এই আধুনিক মানুষই উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। ফলে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে এবং দলবদ্ধ হয়। শুরু হয় প্রাচীন প্রস্তর যুগ । সুতরাং, প্লেইস্টোসিন যুগ হচ্ছে প্রাচীন প্রস্তর যুগের সমসাময়িক। --------------x-------------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ ১) প্লেইস্টোসিন যুগ কাকে বলে? এই যুগটির সঙ্গে প্রস্তর যুগের সম্পর্ক লেখো। For English Medium Students Period of Pleistocene Age and this Age is contemporary with which stone age? The period beginning about 20 million years ago and extending to about 10,000 years ago is called the Pleistocene Age . The first part of the Pleistocene epoch the appears of the ance...

কোয়াটারনারি যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী? এদের সময়কাল উল্লেখ করো।

কোয়াটারনারি যুগের শ্রেণি বিভাগ ও সময়কাল আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  কোয়াটারনারি যুগ  বলে। এই যুগকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন, ১) প্লেইস্টোসিন যুগ ( ২০ লক্ষ বছর - ১০ হাজার বছর পর্যন্ত ) ২) হোলোসিন যুগ ( ১০ হাজার বছর - বর্তমান কাল পর্যন্ত )

কোয়াটারনারি যুগ কাকে বলে? কোয়াটারনারি যুগের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে কোয়াটারনারি যুগ বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে তুষার যুগ (Ice Age) বর্তমান ছিল। মোট ৪ বার তুষার যুগের আবির্ভাগ হয়। ২) বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বহু প্রজাতির প্রাণী পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যেমন, ম্যামথ, ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশালাকার পাখি। ৩) এই যুগেই মাটির বর্তমান গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। ৪) এই যুগে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়। এবং মানব সভ্যতার সূচনা হয়। ৫) মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজবদ্ধ হওয়ার চিন্তা দানা বাঁধে। ৬) এই যুগের প্রথম পর্বের ( প্লেইস্টোসিন যুগের ) শেষ ভাগে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে। ফলে মানুষ প্রস্তর ( প্রাচীন প্রস্তর যুগে ) যুগে প্রবেশ করে। ৭) এই যুগের দ্বিতীয় পর্বে ( হোলোসিন যুগের ) নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ কৃষি কাজের কৌশল আবিষ্কার, আগুনের ব্যবহার শেখে রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করে। ৮) এই যুগের দ্বিত...

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ।

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  কোয়াটারনারি যুগ  বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে তুষার যুগ (Ice Age) বর্তমান ছিল।  ২) বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বহু প্রজাতির প্রাণী   বিলুপ্ত হয়ে যায়।   মাটির বর্তমান গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়,  আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয় এবং মানব সভ্যতার সূচনা হয়। ৩) মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজবদ্ধ হওয়ার চিন্তা দানা বাঁধে, ফলে পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে,   কৃষি কাজের কৌশল আবিষ্কার, আগুনের ব্যবহার শেখে,  রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা  করে। মানুষ ধাতুর ব্যবহার শেখে এবং নগর সভ্যতার সূচনা হয়। ----------x-------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ  ১) কোয়াটারনারি যুগ বলতে কী বোঝ? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ । (প্রশ্নের মান - ৮)

টারসিয়ারি যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ।

টারসিয়ারি যুগের সময়কাল ও এই যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ আজ থেকে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং ২০ লক্ষ বছর পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে টারসিয়ারি যুগ বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগে পৃথিবীর উপরিভাগে ব্যপক পরিবর্তন ঘটে।  ভুভাগে পর্বতমালাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক গঠনগুলি সম্পূর্ন হয়। ২) এই সময় মানব প্রজাতির বিভিন্ন প্রাইমেট বা পূর্বপুরুষের আবির্ভাব ঘটে। ------------x--------- এই বিভাগের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে   এখানে ক্লিক করো । Period of Tertiary Era and characteristics of this period: The period, which was beginning about 6.5 million years ago and extending up to 20 million years is called the Tertiary Era . The main features of this era are: 1) During this period, there was a great change in the earth's surface. Other natural formations including mountains were completed on the surface. 2) During this time various primates or ancestors of human species appeared. ------------x---------

নবজীবীয় যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

নবজীবীয় যুগের শ্রেণি বিভাগ আজ থেকে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে নবজীবীয় যুগ বলে। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - ১) টারসিয়ারি যুগ (৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর - ২০ লক্ষ বছর পর্যন্ত) ২) কোয়াটারনারি যুগ ( ২০ লক্ষ বছর - আজ পর্যন্ত) ---------x-------- মনে রেখো  ঃ এই প্রশ্নে বিভিন্ন যুগের সময়কাল চাওয়া হয়নি। তাই  পরীক্ষার খাতায় বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া সময়কাল উল্লেখ করার দরকার নেই ।  মনে রাখার ও বোঝার সুবিধার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। এই বিভাগের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । Cenozoic age class division The period, which was beginning about 65 million years ago and extending to the present day is called the  Cenozoic  Age . This era is divided into two parts. Namely – 1) Tertiary Age (up to 65 million years - 200 million years) 2) Quaternary Era (200 million years - till date) ---------x-------- Note: This question does not ask for the duration of different eras. Hence there is no need to mention the period given in bracket...

গঠনগত চরিত্র ও প্রাণের বিকাশের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সময়কালকে (যুগকে) কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী?

গঠনগত চরিত্র ও প্রাণের বিকাশের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সময়কালকে (যুগকে) কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী? পৃথিবীর গঠনগত চরিত্র ও প্রাণীর বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ভূবিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর সমগ্র সময়কালকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো : ১) আর্কিওজোয়িক যুগ ( ৮২ কোটি বছর আগে - পৃথিবী সৃষ্টির শুরু পর্যন্ত) ২) প্রটেরোজোয়িক যুগ ( ৫০ কোটি বছর আগে - ৮২ কোটি বছর পর্যন্ত) ৩) পুরাজীবীয় যুগ ( ২০ কোটি বছর আগে - ৫০ কোটি বছর পর্যন্ত) ৪) মধ্যজীবীয় যুগ ( ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে - ২০ কোটি বছর পর্যন্ত) ৫) নবজীবীয় যুগ ( বর্তমান সময় - ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পর্যন্ত) ----------x---------- মনে রেখো  ঃ এই প্রশ্নে বিভিন্ন যুগের সময়কাল চাওয়া হয়নি। তাই পরীক্ষার খাতায় বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া সময়কাল উল্লেখ করার দরকার নেই ।  মনে রাখার ও বোঝার সুবিধার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। নবজীবীয় যুগের শ্রেণি বিভাগ দেখো এখানে ক্লিক করে । Division of earth ages based on structural character and development of life Various geologists and anthropologists have divided the whole period of the earth into five...

জীবাশ্ম কী? উদাহরণ দাও।

জীবাশ্ম কী? দুটি উদাহরণ দাও। জন্মলগ্ন থেকে পৃথিবীর আবহাওয়া বারবার পাল্টেছে। উষ্ণ যুগের পর হিম যুগ এবং হিম যুগের পর আবার উষ্ণ যুগ এসেছে। এই ভাবে বারবার হিম যুগ ফিরে আসার ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ কুলের একটা বড় অংশ বিলুপ্ত হয়ে মাটি বা বরফের নিজে চাপা পড়ে যায়। এই চাপা পড়া দেহগুলো মাটির চাপ ও তাপে ক্রমশ ছাপ যুক্ত পাথরে পরিণত হয়। এই ছাপযুক্ত পাথরকে জীবাশ্ম বলে।  উদাহরণ, ভারত ও কেনিয়ার রামাপিথেকাস , চিনের পিকিং মানব উল্লেখযোগ্য জীবাশ্ম। 

প্রাচীন যুগের ইতিহাসের প্রত্নতাত্বিক উপাদান ও শ্রেণি বিভাগ

প্রাচীন যুগের ইতিহাসের প্রত্নতাত্বিক উপদগুলো কয়ভাগে বিভক্ত ও কী কী? প্রাগৈতিহাসিক ও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রত্নতাত্বিক উপাদান। এই প্রত্নতাত্বিক উপদনগুলোকে চারভাগে ভাগ করা হয়।  ১) জীবাশ্ম, ২) প্রাচীন মানুষের ব্যবহার্য হাতিয়ার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি, ৩) গুহাচিত্র, ৪) প্রাচীন সমাধি ও মন্দিরের ধংসাবশেষ  ----------🙏--------- এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে   এখানে ক্লিক করো । 

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগকে যুগসন্ধিক্ষণ বলা হয় কেন?

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগকে 'যুগসন্ধিক্ষণ' বলা হয় কেন? প্রায়-ইতিহাসের যুগকে (Proto Historic Age) 'যুগসন্ধিক্ষণ' (Transition Period) বলা হয়। কারণ, এই সময়কালের মধ্যে মানব সমাজে একদিকে সাহিত্যের আগমন ঘটে, অন্যদিকে ঐতিহাসিক লেখালেখির উদ্ভব ঘটে। মানুষ মৌখিক ঐতিহ্যকে নির্ভর করে লিখিত ঐতিহ্যের দিকে অগ্রসর হয়।  অন্যভাবে বলা যায়, এই যুগটি ছিল প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক যুগের সন্ধিক্ষণে বা মধ্যবর্তী সময়ে। ----------🙏--------- এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । 

হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রাগৈতিহাসিক যুগের যুগ বিভাজন

হাতিয়ারে বিবর্তনের ভিত্তিতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের যুগ বিভাজন প্রাচীন মানুষের  হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি  করে প্রত্নতাত্বিকরা প্রাগৈতিহাসিক যুগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন। ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ ২) মধ্য প্রস্তর যুগ ৩) নব্য প্রস্তর যুগ ৪) তাম্র-প্রস্তর যুগ ৫) লৌহ যুগ।  লক্ষ্যণীয় : পাথরের হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি বা বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রাগৈতিহাসিক যুগকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । বিস্তারিত জানো 👉 এখানে ক্লিক করে ।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো ।

নব্য প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ট লেখো।

নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই সময়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট লেখো। নব্য প্রস্তর যুগ : প্রাগৈতিহাসিক যুগের শেষ পর্বকে বলা হয় নব্য প্রস্তর যুগ বা Neolithic Age । এই পর্বে আদিম মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে ক্রমশঃ  খাদ্য উৎপাদক শ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়। আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 4000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে নব্য প্রস্তর যুগ বলা হয়। নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগের মানুষ খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। অর্থাৎ কৃষি কাজের সূচনা হয়। ২) পশু শিকারের সাথে সাথে পশুপালনের সূচনা হয়। ৩) হাতিয়ার গুলি খুবই সূচালো, ধারালো ও ক্ষুদ্র আকারের হয়। ৪) চাকার ব্যবহার শুরু হয় ৫) প্রথম আগুন জ্বালানোর কৌশল আবিষ্কার করে  ৬) যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থায়ী বসতি গড়ে উঠতে থাকে। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

মধ্য প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ঠ লেখো।

মধ্য প্রস্তর যুগ কোন সময়কে বলা হয়? এই যুগের বৈশিষ্ঠ লেখো।  মধ্যপ্রস্তর যুগ প্রাগৈতিহাসিক যুগের দ্বিতীয় পর্বকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বা Mesolithic Age বলা হয়। এই পর্বের মানুষ পাথরের যে অস্ত্র ব্যবহার করতো তা প্রাচীন প্রস্তর যুগের তুলনায় বেশ কিছুটা উন্নত এবং আকারে ক্ষুদ্র।  মতপার্থক্য থাকলেও মোটামুটি ভাবে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০০ থেকে ১০০০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়কে মধ্য প্রস্তর যুগ বলে ধারা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগের পাথরের হাতিয়ার গুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের তুলনায় উন্নত এবং আকারে ছোট। ২) এদের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করা। ৩) এই যুগে যাতায়াতের কাজে কুকুরে টানা স্লেজ গাড়ির ব্যবহার জানত। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ঠ লেখো।

  প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো। প্রাচীন প্রস্তর যুগ প্রাচীন পাথরের যুগ বলতে মানব সভ্যতার বিবর্তনের ধরার এমন এক পর্যায়কে বোঝানো হয়, যেখানে মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে হাতিয়ার হিসাবে প্রধানত পাথরকেই প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার শুরু করে। তবে গাছের ডাল, কাঠের টুকরো, এমনকী মৃত প্রাণীর হাড়ও হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হত। প্রাচীন প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) মানুষের ব্যবহৃত পাথরের হাতিয়ারগুলো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল, অর্থাৎ আকারে বড় এবং ভোঁতা। ২) অস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মুগুর, কুঠার, বর্শা, হারপুন, ধনুরবান ইত্যাদি, ৩) জীবিকা ছিল শিকার ও খাদ্য সংগ্রহ, এবং ৪) জীবনযাপন ছিল যাযাবর প্রকৃতির বিকল্প প্রশ্ন : ১) প্রাচীন পাথরের যুগ কাকে বলে? ২) Pala eolithic Age বলতে কী বোঝো? ৩) পুরাপ্রস্তর যুগ কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখ।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ঠগুলো উল্লেখ করো। উদাহরণ দাও।

ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ঠগুলো উল্লেখ করো। উদাহরণ দাও।  ঐতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কালকে বোঝায়, যখন ১) মানুষ লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, ২) তাদের জীবনযাপন প্রণালী, সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিবররণ রেখে গেছেন, এবং সেই সব বিবরণের পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়ছে।  উদাহরণ হিসাবে মিশরিয় ও মেসোপটেমিয়া সভ্যতার কথা বলা যায়।   খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিশরে এবং  খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে ভারতে, (আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময়) এই যুগের সূচনা ধরা হয় । ঐতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগে মানুষের লিপিজ্ঞান ছিল।  ২) এই লিপির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছে, ৩) এই যুগের সময়কাল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূচনা হয়েছে।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো। উদাহরণ দাও।

  প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো।  উদাহরণ দাও। প্রাগৈতিহাসিক যুগের শেষ পর্বে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। অর্থাৎ যে সময়কালের মধ্যে মানুষ লিপির ব্যবহার শুরু করে কিন্তু সেই লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি, সেই সময়কালকে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলে।  যেমন : হরপ্পা সভ্যতা র সময়কাল। এই সভ্যতার মানুষ 'সিন্ধুলিপি' ব্যবহার করত, যার পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয় নি।  এই যুগের বৈশিষ্ঠ হল : ১) এই যুগের মানুষ লিপির ব্যবহার করত, ২) কিন্তু এই লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। ৩) এই সময় মানুষ ধাতুর ব্যবহার শুরু করে। ----------🙏---------- মনে রেখো : ভারতের ক্ষেত্রে তাম্র-ব্রোঞ্জ ব্যবহারের সূত্রপাত থেকে লৌহ যুগের সূচনা পর্যন্ত সময়কালকে ' প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ' বলে অভিহিত করা হয়।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ঠ

  প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ঠ লেখো। উদাহরণ দাও। মানব সভ্যতার সূচনাকাল  থেকে লিপির ব্যবহার শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কালকে  প্রাগৈতিহাসিক যুগ  বলা হয়। এই যুগের বৈশিষ্ঠ হল : ১)  এই সময়ের ইতিহাস রচনায় কোন লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না।  ২) শুধুমাত্র প্রত্নতাত্বিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে ইতিহাস লেখা হয়। ৩) এই সময় হোমোস্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়।  এই যুগের দুটি সভ্যতার নাম নিয়ান্ডারথল ও ডেনিসোভান দের সভ্যতা।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাগৈতিহাসিক যুগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রাগৈতিহাসিক যুগের শ্রেণি বিভাগ  প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথরের তৈরি অস্ত্র। এই অস্ত্রের বা পাথরের হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি লক্ষ্য করে বিশ্লেষণ করে প্রত্নতাত্বিকগণ প্রাগৈতিহাসিক যুগ কে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। যথা : ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ , ২) মধ্য প্রস্তর যুগ , ৩) নব্য প্রস্তর যুগ । লক্ষ্যণীয় : প্রাচীন মানুষের হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রত্নতাত্বিকরা প্রাগৈতিহাসিক যুগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন । বিস্তারিত দেখো 👉 এখানে ক্লিক করে ।    আরও পড়ো : ১)   প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য কী ছিলো ?                     ২)  প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো ? এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাক-ঐতিহাসিক (প্রাগৈতিহাসিক) যুগ কাকে বলে ?

  প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ মানব সভ্যতার সূচনা হয় আজ থেকে ৩৬ লক্ষ্য বছর আগে। এই সময় থেকে লিপির ব্যবহার শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়। এই সময়ের ইতিহাস রচনার কোন লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না। ফলে শুধুমাত্র প্রত্নতাত্বিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করেই ইতিহাস লেখা হয়। তবে সব দেশে একই সময়ে প্রাগৈতিহাসিক যুগের সূচনা হয়নি।  -----🙏---- বিকল্প প্রশ্ন : ১) প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো? আরও পড়ো : ১)   প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য কী ছিলো ?                     ২) প্রাগৈতিহাসিক যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ? এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রচীন যুগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রাচীন যুগের বিভিন্ন বিভাগ  প্রাচীন যুগে মানুষের ধাতুর হাতিহার, সংস্কৃতি ও লিপির ব্যবহারের বিষয়ে পরিবর্তনকে সামনে রেখে এই যুগকে তিনভাগে বাগ করা হয়। যথা : ১) প্রাগৈতিহাসিক যুগ , ২) প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ, ৩) ঐতিহাসিক যুগ।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

মানব সভ্যতার ইতিহাসকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী ?

ইতিহসের যুগবিভাগ  ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ, যা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সত্যনুসন্ধান বা গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত । মানব সভ্যতার ইতিহাসকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।  ১) প্রাচীন যুগ, ২) মধ্যযুগ, ৩) আধুনিক যুগ। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য

ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য কী? উত্তর : ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য  : ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ, যা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সত্যনুসন্ধান বা গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত। সুতরাং এই বিবরণকে সমগ্র মানবজাতির কাছে অর্থপূর্ণ করে তুলে ধরাই ইতিহাস পাঠের প্রধান উদ্দেশ্য। কারণ, ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে  অতীতে মানুষের জীবনের সঙ্গে এই সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদির সম্পর্ক কেমন ছিলো,  বর্তমানে তা কেমন আছে কিংবা  ভবিষ্যতেই বা কেমন হওয়া উচিত এবং  এ বিষয়ে তার নিজেরই বা কী করণীয়।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো । বিকল্প প্রশ্ন : ইতিহাস আমরা পড়ি কেন? ইতিহাস পড়ার কারণ কী? ইতিহাস পড়া দরকার কেন? ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা কী?

ইতিহাস কী? অথবা, ইতিহাস বলতে কী বোঝো?

ইতিহাস কী? উত্তর : ইতিহাস কথার ইংরেজি অর্থ হল ' হিস্টোরি' । এই শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ' ইস্তরিয়া' থেকে যার অর্থ সত্যনুসন্ধান বা গবেষণা । তাই ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ, যা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সত্যনুসন্ধান বা গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ।   স্যার উইলিয়াম জোন্স বলেছেন, History is the scientific study of our complete past . (অর্থাৎ অতীতের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনাই হল ইতিহাস।) বিকল্প প্রশ্ন : অথবা, ইতিহাস বলতে কী বোঝো? অথবা, ইতিহাস কাকে বলে? এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

এমন একটি নগররাষ্ট্রের নাম লেখ যেখানে অভিজাততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

স্পার্টা হল এমন একটি নগররাষ্ট্র যেখানে অভিজাততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

এমন একটি নগররাষ্ট্রের নাম লেখ যেখানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

এথেন্স হল এমন একটি নগররাষ্ট্র যেখানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

দুটি নগররাষ্ট্রের (পলিসের) নাম লেখ।

দুটি নগররাষ্ট্রের (পলিসের) নাম -- ১) এথেন্স (গণতান্ত্রিক) ২) স্পার্টা ( অভিজাততান্ত্রিক)

পলিস বা নগররাষ্ট্রের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

পলিস বা নগররাষ্ট্রের দুটি বৈশিষ্ট্য হল --- ১) ক্ষুদ্রায়তন ২) স্বল্প জনসংখ্যা।

পলিস কী?

পলিস কী? খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকে মধ্যবর্তী সময়ে গ্রিসে প্রায় ১৫০০ টি ছোট ছোট রাষ্ট্র বা সিটি স্টেট গড়ে ওঠে। এগুলির যাবতীয় কাজকর্মে  নাগরিকরাই প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্ৰহণ করত। এই ছোট রাষ্ট্রগুলো পলিস বা নগর-রাষ্ট্র নামে পরিচিত। যেমন - এথেন্স , স্পার্টা ইত্যাদি। ----------x-------- বিকল্প প্রশ্ন ১) নগর-রাষ্ট্র বলতে কী বোঝো? দুটি নগর রাষ্ট্রের উদাহরণ দাও। পালিস বা নগর-রাষ্ট্র সংক্রান্ত আরো প্রশ্ন    প্রাচীন গ্রিসে পলিস বা নগর রাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বর্ণনা কর  । স্পার্টার স্বাধীন নাগরিকদের সঙ্গে ক্রীতদাসদের (হেলট) সম্পর্ক  প্রাচীন গ্রিসে ক্রীতদাস প্রথা ও তাঁর উৎপত্তি  প্রাচীন গ্রিসের সমাজে দাস ও দাস-প্রভুর সম্পর্ক

একাদশ শ্রেণির নম্বর বিভাজন

এই তালিকা থেকে জেনে নাও কোন অধ্যায় থেকে কী ধরণের ও কত মার্কসের প্রশ্ন থাকবে। ক্রমিক সংখ্যা অধ্যায় MCQ SA DA TOTAL ১ ইতিহাস চেতনা ১ x ৩ = ৩ ১ x ৩ = ৩ ------- ০৬ ২ আদিম মানব থেকে প্রাচীন সভ্যতা ১ x ৩ = ৩ -- ৪ + ৪ = ৮/৮ ১১ ৩ রাজনৈতিক বিবর্তন ১ x ৩ = ৩ ১ x ২ = ২ ৪ + ৪ = ৮ অথবা ১৯ ৪ রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও শাসনযন্ত্র ১ x ৩ = ৩ ১ x ৩ = ৩ ৪ + ৪ ৫ অর্থনীতির বিভিন্ন দিক ১ x ৩ = ৩ ১ x ৩ = ৩ ৮ অথবা ৪ + ৪ ১৪ ৬ সমাজের ঘটনা প্রবাহ ১ x ৩ = ৩ ১ x ২ = ২ ৮ অথবা ৩ + ৫ ১৩ ৭ ধর্ম ১ x ৩ = ৩ -- ৮ ১১ ৮ দিগন্তের প্রসার ১ x ৩ = ৩ ১ x ৩ = ৩ -------- ০৬ মোট ২৪ ১৬ ৪০ ৮০