সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রশ্নের মান - ৪ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ

ইউরোপে ‘মুদ্রণ বিপ্লবে’র পটভূমি আলোচনা করো ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপে মুদ্রণযন্ত্রের সাহায্যে বই ছাপার কাজ শুরু হয়। জোহানেস গুটেনবার্গ ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে চলনশীল ধাতু নির্মিত অক্ষরের মাধ্যমে আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করলে ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের সূচনা হয়। মুদ্রণ বিপ্লবের কারণ বা পাটভূমি : ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কাগজ তৈরীর কৌশল : চিনারা প্রথম কাগজ তৈরীর কৌশল আয়ত্ত করে। আরবীয় প্রযুক্তিবিদদের মাধ্যমে স্পেন হয়েতা ইউরোপে পৌঁছালে মুদ্রণ বিপ্লবের পথ প্রশস্থ হয়। কাগজের সহজলভ্যতা : আরবদের দ্বারা ট্রিপ হ্যামার আবিষ্কার ও তার ব্যবহারের ফলে উন্নতমানের কাগজ তৈরীর কৌশল আয়ত্তে আসে। এই কৌশলও আরবদের মাধ্যমে  ১১৫০ সালে স্পেন হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। ফলে কাগজ সহজলভ্য হয়ে ওঠে। উন্নত মুদ্রাণযন্ত্রের আবিষ্কার : গুটেনবার্গ জার্মানির মেইন শহরে চলনশীল ধাতু নির্মিত অক্ষর আবিষ্কার ও তার ব্যবহার করে উন্নত মানের মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করলে মুদ্রণ বিপ্লবের পথ ত্বরান্বিত হয়। ধাতু শিল্পের অগ্রগত...

কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রের জনক’ বলা হয়?

কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক’ বলা হয়? কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রের জনক’ বলা হয়? জার্মানির মেইন্জ শহরের অধিবাসী জোহানেস গুটেনবার্গ, যিনি প্রথম জীবনে একজন স্বর্ণকার ছিলেন, ‘আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক ’ নামে পরিচিত।  গুটেনবার্গ অনেক বছর ধরে মুদ্রণশিল্পের উন্নতির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এই চেষ্টার সূত্র ধরেই ১৪৩৯ সালে তিনি মুদ্রণযন্ত্রে ধাতব অক্ষরের ব্যবহার শুরু করেন। তৈলাক্ত কালী ও কাঠের মুদ্রণ প্রেস ব্যবহার করে তিনি এই মুদ্রণের কাজ চালাচ্ছিলেন। ১৪৪৮ সালে এসে বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র তৈরি করেন। এই যন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, চলমান ধাতু নির্মিত অক্ষরের ব্যবহার । এভাবে দীর্ঘদিন চেষ্টা করার পর ১৪৫৪ সালে চলমান ধাতব অক্ষর ব্যবহার করে আধুনিক মানের মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন। আর এ কারণেই তাঁকে ‘ আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক’ বলা হয়। মনে রাখা দরকার, তাঁর এই যুগান্তকারী অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালের ‘ টাইম লাইফ’  ম্যাগাজিন তাঁর এই আবিষ্কারকে ‘ দ্বিতীয় সহস্রাবদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার’ বলে উল্লেখ করেছেন। -----------xx----------- এই প্রশ্ন...

ইউরোপে মন্ত্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান

 ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান কী ছিল? ইউরোপে মন্ত্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার, যন্ত্র তৈরীর কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া এবং প্রকাশিত বই সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের মুদ্রণ জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে ‘ মুদ্রণ বিপ্লব’ বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি জার্মানিতে জোহানের গুটেনবার্গের মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের পর ইউরোপে যে মুদ্রণ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল তার পটভূমি রচনায় আরবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আরবের মুসলিম শাসকরা তালাশের যুদ্ধের সময় চীন থেকে সুদক্ষ কাগজ প্রস্তুতকারক কারিগরদের বন্দী করে আনেন তাদের কাছ থেকে কাগজ তৈরীর মূল কৌশল শিখে নেন। পরবর্তীকালে আরবদের হাতে কাগজ তৈরীর প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়। শণের ও ট্রিপ হ্যামারের ব্যবহার ফলে এই উন্নতি সম্ভব হয়। কাগজ তৈরির প্রযুক্তি উন্নত হলে আরবরাকাগজ তৈরির কারখানা গড়ে তোলায় মনোযোগ দেয়। সর্বপ্রথম সমরখন্দে এই কারখানা গড়ে ওঠে। এরপর আরবদের হাত ধরে একে একে বাগদাদ, দামাস্কাস, মরক্কো হয়ে স্পেনে পৌঁছে যায় কাগজ তৈরির কৌশল। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ইউর...

জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো?

জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? প্রাচীনকাল থেকেই মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের অসীম আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল। মহাকাশ জুড়ে বিস্তৃত জ্যোতিষ্কগুলি নিয়ে প্রাচীন পৃথিবীতে দুই ধরনের বিষয়ের চর্চা হত। একটি হল জ্যোতিষশাস্ত্র বা অ্যাস্ট্রলজি (Astrology) এবং দ্বিতীয়টি হল জ্যোতির্বিজ্ঞান বা অ্যাস্ট্রোনমি(Astronomy)। জ্যোতির্বিজ্ঞান কী : জ্যোতির্বিজ্ঞান বা অ্যাস্ট্রোনমি (Astronomy) এই ইংরেজি কথাটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ যুক্ত হয়ে। একটি হল Astron, যার অর্থ জ্যোতিষ্ক। অন্যটি হল Nomos, যার অর্থ বিন্যাস। সুতরাং জ্যোতির্বিজ্ঞান হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সেই শাখা, যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত গ্রহ-নক্ষত্র সহ সমস্ত জ্যোতিষ্ক মন্ডলের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যুক্তিবিজ্ঞান মেনে ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিচার বিশ্লেষণ করে এবং সে সম্পর্কে প্রকৃত সত্য উপলব্ধির চেষ্টা করে। মনে রাখতে হবে, মূলত ইউরোপীয় নবজাগরণের সময় থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান দুটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। সপ্তদশ শতকের শেষ থেকে অষ্টাদশ শতকের প্রথম অর্ধের মধ্যে মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, জ্যোতিষশাস...

মুদ্রণবিপ্লব কী?

মুদ্রণবিপ্লব কী? মুদ্রণবিপ্লব কী? ইউরোপে নবজাগরণপ্রসূত চিন্তাচেতনার প্রসারের সূত্র ধরে জার্মানিতে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার হয়। গুটেনবার্গের এই আবিষ্কার এবং চিনের কাগজ তৈরির কৌশল আরবদের দ্বারা ইউরোপে পৌঁছালে, মুদ্রণশিল্পের ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়। এরপর জার্মানি থেকে মুদ্রণযন্ত্র তৈরীর এই কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে পঞ্চদশ শতকের শেষ থেকে ষোড়শ শতকের প্রথমার্ধের মধ্যে ইউরোপে মুদ্রণশিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে। এই অগ্রগতির ফলে হাতে লেখা পুঁথির পরিবর্তে মুদ্রণযন্ত্রের সাহায্যে বই ছাপা শুরু হয়। এই বইগুলি হাতে লেখা পুথির থেকে তুলনামূলকভাবে সস্তা, সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠায় বইয়ের চাহিদাও বেড়ে যায়। এইভাবে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার , যন্ত্র তৈরীর কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া এবং প্রকাশিত বই সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের মুদ্রণ জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে ‘ মুদ্রণ বিপ্লব’  বলে অভিহিত করা হয়। ---------xx-------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : মুদ্রণ বিপ্লব কাকে বলে? মুদ্রণ বিপ্লব বলতে কী বোঝো?...

ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ফলাফল

ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ফলাফল কী হয়েছিল? ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ফলাফল ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব ধর্মসংস্কার আন্দোলন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই আন্দোলনের ফলাফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী।  ইউরোপের ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের গভীর প্রভাব পড়েছিল। ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ধর্মীয় প্রভাব : খ্রিস্টান জগতের বিভাজন :   ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ফলে খ্রিস্টান ধর্মের ঐক্য বিনষ্ট হয় এবং প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক নামে দুটি পৃথক ধর্ম সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়। পোপের প্রাধান্য নষ্ট হয় : এই আন্দোলনের ফলে ইউরোপ তথা বিশ্বে ক্যাথলিক চার্চ ও পোপতন্ত্রের একক প্রাধান্য নষ্ট হয়। ফলে, বিশ্বজনীন চার্চ-ব্যবস্থার পতন ঘটে। প্রতি-ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সূচনা : ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মমতের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে রুখে দিয়ে ক্যাথলিক ধর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি-সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন মতবাদের সৃষ্টি হয় : ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ফলে ইউরোপে লুথারবাদ, কেলভিনবাদ, অ্যানাব্যাপটিস্টব...

ধর্মসংস্কার আন্দোলনে জন ওয়াইক্লিফের অবদান

ধর্মসংস্কার আন্দোলনে জন ওয়াইক্লিফের অবদান কী ছিল? ধর্মসংস্কার আন্দোলনে জন ওয়াইক্লিফের অবদান অধ্যাপক জন ওয়াইক্লিফ ছিলেন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনিই প্রথম ক্যাথলিক চার্চ ও পোপতন্ত্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। আর এ কারণে তিনি ‘ ধর্মসংস্কার আন্দোলনের শুকতারা’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ইংল্যান্ড তথা ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।  যাজকের বিরোধিতা : জন ওয়াইক্লিফ বলেন, প্রতিটি মানুষই ঈশ্বরের কাছে সমান। তাই ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক আছে। এবং সে কারণেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনার জন্য যাজকের কোন প্রয়োজন নেই। মানুষ নিজে নিজেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারে।  বাইবেলের অনুবাদ : তিনি নিজে একজন ধর্মযাজক হয়েও পোপ ও যাজকদের দুর্নীতি , অর্থলোলুপতা , আড়ম্বরপ্রিয়তা এবং নৈতিক অধঃপতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে তিনি ইংরেজি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করে তা জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করেছিলেন। ফলে সাধারণ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মের মূল নীতি সম্পর্কে জানত...

ধর্মসংস্কার আন্দোলনের পটভূমি

ধর্মসংস্কার আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা করো। ধর্মসংস্কার আন্দোলনের পটভূমি খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকে ইউরোপে প্রচলিত পোপতন্ত্র এবং রোমান ক্যাথলিক চার্চের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, দুর্নীতি, অনাচার ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক তীব্র সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চ-বিরোধী এই আন্দোলন ‘ ধর্মসংস্কার আন্দোলন ’ নামে পরিচিত। কোন কোন ঐতিহাসিক এই ঘটনাকে ‘ ধর্মবিপ্লব’ বলেও অভিহিত করেছেন। ধর্মসংস্কার আন্দোলনের পটভূমি : কোন একটি নির্দিষ্ট কারণে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়নি। এর পিছনে ছিল বিভিন্ন রকমের আর্থ-সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কারণ। ১) নবজাগরণের প্রভাব : খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকের  ইউরোপে, বিশেষ করে ইতালিকে কেন্দ্র করে, ইউরোপীয় চিন্তা-জগতে ‘ নবজাগরণ ’ ঘটে। ফলে মানুষ যুক্তিবাদী হয়ে ওঠে। এই যুক্তিবাদী মানুষের মধ্যে স্বাধীনচিন্তা, সমালোচনামূলক মনোভাব, ব্যক্তি স্বাধীনতা ইত্যাদি গড়ে ওঠায় তারা গির্জার দুর্নীতি , অনাচার ও স্বৈরাচারী মনোভাব- এর   বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়।  ২) স্কুলমেন দর্শনের প্রভাব : ইউরোপে একাদশ দ্বাদশ শতকে খ্রিস্টানধর্মকে যুক্তি-তর...

নবজাগরণের ইতিবাচক প্রভাব কী ছিল?

নবজাগরণের ইতিবাচক প্রভাব কী ছিল? নবজাগরণের ইতিবাচক প্রভাব কী ছিল? পঞ্চদশ শতকের ইতালির নবজাগরণ সমকালীন ইউরোপীয় সাহিত্য, শিল্পকলা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন ও সমাজ-সংস্কৃতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিল। এই পরিবর্তন দু'ভাবে পরিলক্ষিত হয় - ইতিবাচক এবং নেতিবাচক । নবজাগরণের ইতিবাচক প্রভাব : নবজাগরণের ইতিবাচক প্রভাবগুলো হল : ইতিহাসচর্চায় প্রভাব : নবজাগরণের প্রভাবে ইতিহাস চর্চায় ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব হয়। এই নতুন ইতিহাস দর্শনের প্রবক্তা ছিলেন লিওনার্দো ব্রোনি, ফ্রানচেথকো গুইচিয়ারদিনি ও ফ্ল্যাবিও বিয়োন্দ। সাহিত্যচর্চায় প্রভাব : এতদিন ইউরোপে শুধুমাত্র গ্রিক, রোমান ও ল্যাটিন ভাষার চর্চা হত। কিন্তু নবজাগরণের কল্যাণে মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। সাহিত্যের বিষয় হিসেবে ঈশ্বর বন্দনার জায়গায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া বিষয় হিসাবে গুরুত্ব পায়। দান্তে আলীগিরি, ফ্রান্সিস্কো পেত্রার্ক, জিওভান্নি বোকাচ্চিও, জিওফ্রে চসার, এডমান্ড স্পেন্সার, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার প্রমুখ সাহিত্যিক এই পর্বে মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চা করে খ্যাতি লাভ করেন। শিল্পকলায় প্রভাব...

ইউরোপীয় নবজাগরণ বলতে কী বোঝো?

ইউরোপীয় নবজাগরণ বলতে কী বোঝো? নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য লেখো। ইউরোপীয় নবজাগরণ বলতে কী বোঝো? ‘ রেনেসাঁ ’ শব্দের অর্থ হলো ‘ নবজাগরণ ’। পঞ্চদশ শতকের ইউরোপে গ্রিক ও ল্যাতিন ভাষা ও সংস্কৃতির প্রভাবে সেখানকার সাহিত্য, ললিতকলা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শন সহ নানান ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ইউরোপীয় ভাবজগতে জন্ম হয় এক নতুন চেতনার। এই নতুন চেতনার আলোকে ইউরোপের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে, তা এক কথায় ‘ রেনেসাঁ’ বা ‘ নবজাগরণ ’ নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে, এই সময় ইউরোপীয় চিন্তা ও চেতনার জগতে এক উদারনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও যুক্তিবাদী ভাবধারার বিকাশ ঘটে। এই নতুন ভাবধারাই ইউরোপের ইতিহাসে রেনেসাঁ বা নবজাগরণ বা নবজাগৃতি নামে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউরোপীয় নবজাগরণকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন। এই পর্যায়েগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুটি পর্যায় হল : ১) খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকের নবজাগরণ এবং  ২) খ্রিস্টীয় পঞ্চমদশ শতকের নবজাগরণ। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে, আধুনিক অর্থে নবজাগরণ হল, ইতালীর ফ্লোরেন্স নগরীকে কেন্দ্র করে পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি য...

ক্রুসেডে খ্রিষ্টানদের ব্যর্থতার কারণ কী ছিল?

ক্রুসেডে খ্রিষ্টানদের ব্যর্থতার কারণ কী ছিল? ক্রুসেডে খ্রিষ্টানদের ব্যর্থতার কারণ কী ছিল? প্রায় দুশো বছর ধরে আটটি ক্রুসেডে অংশ নিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরও জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করা খ্রিস্টানদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাদের এই ব্যর্থতার পিছনে ছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ।  ক্রুসেড ব্যর্থ হওয়ার কারণ : বাস্তব চিন্তাভাবনার অভাব : ক্রুসেডকে সফল করার জন্য যে বাস্তব চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল তা ক্রুসেডারদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে, সিরিয়া ও প্যালেস্টাইন দখল করেও তার নিয়ন্ত্রণ তারা ধরে রাখতে পারেনি।  দুর্বল সংগঠন : ক্রুসেড বাহিনী সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ছিল। ধর্ম যোদ্ধাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল কৃষক ও সাধারণ মানুষ। তাদের না-ছিল সামরিক শিক্ষা, না-ছিল আধুনিক হাতিয়ার।   বোঝাপড়ার অভাব : ক্রুসেডে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল। এমনকি শেষের দিকে ক্রুসেড নিয়ে পোপ ও ইউরোপীয় রাজাদের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। শাসকবর্গের অনাগ্রহ : অনেক ইউরোপীয় রাজা তাদের রাজত্ব ছেড়ে দীর্ঘদিন ক্রুসেডে যুক্ত থাকতে চাননি। ক্রুসেডের প্রতি অনীহা : দী...

ক্রুসেডের ফলাফল আলোচনা করো

ক্রুসেড কী? ক্রুসেডের ফলাফল লেখো। ক্রুসেডের ফলাফল আলোচনা করো সংসদ নমুনা প্রশ্ন — ২০২৪ ১০৯৬ থেকে ১২৯১ সাল পর্যন্ত, প্রায় দু’শো বছর ধরে, জেরুজালেম পুনরুদ্ধারকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টান ও মুসলিম শাসকদের মধ্যে যে তুমুল যুদ্ধ চলেছিল তা  ‘ ক্রুসেড ’  বা ‘ ধর্মযুদ্ধ’  নামে পরিচিত।  মধ্যযুগের ইউরোপের সমাজ , সভ্যতা , রাষ্ট্র , সংস্কৃতি প্রভৃতির উপর ক্রুসেডের প্রভাব বা ফলাফল ছিল সুগভীর এবং সুদূরপ্রসারী।  রাজনৈতিক ফলাফল : সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয় : ক্রুসেডের যোগ দিয়ে সামন্ত প্রভুরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। ফলে সামন্ততন্ত্রের আর্থিক ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া অসংখ্য ভূমিদাস ও বহু সামন্ত প্রভুর মৃত্যু হয়। ফলে সামন্ততন্ত্র ভেঙে পড়ে।  জাতীয় রাষ্ট্রের গঠন : ক্রুসেড সামন্ত প্রভুদের অবক্ষয়ের সাথে সাথে রাজাকে শক্তিশালী করে তুলেছিল। ফলে রাজাদের অধীনে ইউরোপে একটি রাজনৈতিক ঐক্যের বাতাবরণ সৃষ্টি হয় যা জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম করে দেয়। অর্থনৈতিক ফলাফল : শিল্পের বিকাশ : ক্রুসেডের ফলে সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়ের ফলে মধ্যযুগের সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটে এবং শি...

ক্রুসেডের অর্থনৈতিক কারণ

ক্রুসেডের অর্থনৈতিক কারণ কী? ক্রুসেডের অর্থনৈতিক কারণ জেরুজালেম খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে ‘ পবিত্র ভূমি’ বলে পরিচিত। এই পবিত্র ভূমি পুনরুদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে ১০৯৬ থেকে ১২৯১ সাল পর্যন্ত, প্রায় দু’শো বছর ধরে, খ্রিস্টান ও মুসলিম শাসকদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলে। এই যুদ্ধ ‘ ক্রুসেড’ বা ‘ ধর্মযুদ্ধ’  নামে পরিচিত। এই যুদ্ধের পিছনে ছিল নানান গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও  সামাজিক কারণ - এর সাথে সাথে, ঐতিহাসিক পি কে হিট্টি , অর্থনৈতিক কারণকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন।  ক্রুসেডের অর্থনৈতিক কারণ : বস্তুত ক্রুসেড সংগঠনে অর্থনৈতিক কারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাণিজ্য পথ উদ্ধারের চেষ্টা : তুর্কি শাসকরা ভূমধ্যসাগরের পূর্বতীরবর্তী দেশগুলি দখল করে নিলে এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের জলপথে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, মুসলমান বণিকদের কাছ থেকে ইউরোপীয় বণিকদের চড়া দামে প্রাচ্যের মসলাপাতি ও বিলাস দ্রব্যাদি ক্রয় করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশ, যে অংশে জেরুজালেম অবস্থিত, পুনরুদ্ধার করতে ইতালিয় বণিকরা উদগ্রীব হয়ে ওঠে। ফলে তারা...

ক্রুসেডের সামাজিক কারণ

ক্রুসেডের সামাজিক কারণ কী ছিল? ক্রুসেডের সামাজিক কারণ ১০৭১ সালে ‘ মেনজিকার্টের যুদ্ধে’ র মাধ্যমে সেলজুক তুর্কিরা জেরুজালেম সহ সমগ্র প্যালেস্টাইন দখল করে নেয়।  ফলে ইউরোপের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষরা তাদের ‘ পবিত্র ভূমি’ জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে তুর্কি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করে। ১০৯৬ থেকে ১২৯১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২০০ বছর ধরে চলা এই ধর্মীয় যুদ্ধ অভিযান ‘ ক্রুসেড’ নামে পরিচিত। মুসলিমদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ধর্মযোদ্ধাদের এই যুদ্ধের পিছনে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।  ‘ক্রুসেড’-এর সামাজিক কারণ : বস্তুত ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে কঠোর শৃংখলে আবদ্ধ দরিদ্র মানুষগুলি ক্রুসেড-এর মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখে। দাসত্ব থেকে মুক্তি :   যে কোনো ক্রুসেডের আগে প্রচার করা হতো যে, ক্রুসেডে যোগদানকারী ভূমিদাসদের যুদ্ধের পর মুক্তি দেয়া হবে। ফলে দাসত্ব থেকে মুক্তির আশায় হাজার হাজার ভূমিদাস ক্রুসেডে অংশ নেওয়ায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি : সমাজে ...

ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য

ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য মেকিয়াভেলি হচ্ছেন একজন আদি-আধুনিক (Early Modern) রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। জন্ম ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে,  ১৪৬৯ সালে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কৃতি নাট্যকার, ঐতিহাসিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি প্রতিষ্ঠার কারণে তিনি ‘ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক ’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। মেকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য : নিকোলো মেকিয়াভেলি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ দ্য প্রিন্স ’-এ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।     ১)  মানব প্রকৃতি : ‘দা প্রিন্স’ গ্রন্থে ম্যাকিয়াভেলি মানুষকে একটি আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, লোভী, সুবিধাবাদী ও ন্যায়নীতিবোধহীন চরিত্ররূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই কারণে মানুষে মানুষে বিবাদ ও সংঘর্ষ দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।     ২)  ধর্ম ও নীতিবোধ :   ম্যাকিয়াভেলি ধর্ম ও নীতিবোদের সঙ্গে রাষ্ট্রনীতির পার্থক্য সুস্পষ্ট করেছেন।  তাঁর মতে শাসক তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস ও নীতিবোধের উর্ধ্বে উঠে কঠোরভ...

আলাউদ্দিন খলজি কী একজন ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন?

আলাউদ্দিন খলজি কী ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন? আলাউদ্দিন খলজি কী একজন ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন? আলাউদ্দিন খলজী ছিলেন সুলতানি যুগের খলজি রাজবংশের সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য তিনি ইতিহাসে খ্যাতি লাভ করে আছেন। ‘তারিখ-ই-ফিরোজশাহী’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, তিনি রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতিকে দুটি স্বতন্ত্র বিষয় বলে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ শাসকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখা এবং রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রয়োজনে উপেক্ষা করা। কোন শাসক কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করলে তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ধর্মাশ্রয়ী শাসক বলা হয়। 🔖এ প্রসঙ্গে আরও পড়ো :  ধর্মশ্রয়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য এদিক থেকে বিচার করলে আলাউদ্দিন খলজির শাসন ধর্মাশ্রয়ী ছিল না। কারণ, বেয়ানার কাজী ও বিশিষ্ট কোরআন বিশারদ মুঘিসউদ্দিন একসময় অভিযোগ করেছিলেন সুলতানের কার্যকলাপ শরীয়তের আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে না। এই অভিযোগের উত্তরে আলাউদ্দিন খলজী বলেছিলেন,  আমি অন্য কোন আইন জানিনা, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আমি যা প্রণয়ন করি, আমার...

দিল্লি সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি

দিল্লি সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি কিরূপ ছিল? দিল্লি সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি ভারতে সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কিত আলোচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সুলতানি শাসনের প্রকৃতি সম্পর্কে ভারতীয় ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ঐতিহাসিক ঈশ্বরী প্রসাদ , এ এল শ্রীবাস্তব , আর পি ত্রিপাঠি , রাম স্মরণ শর্মা প্রমুখ মনে করেন সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি ছিল ধর্মাশ্রয়ী।  অন্যদিকে সতীশচন্দ্র , মোহাম্মদ হাবিব ,  ডাক্তার কুরেশি , কে এম আশরাফ , ডঃ নিজামী প্রমূখ ঐতিহাসিক এর মতে, সুলতানি রাষ্ট্র ছিল ধর্মনিরপেক্ষ, সামরিক ও অভিজাতান্ত্রিক। সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রকৃতি ধর্মাশ্রয়ী ছিল -  এই মত প্রকাশকারী ঐতিহাসিকদের যুক্তি হল : সুলতানি শাসকরা ইসলামিক আইন অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে, এই শাসনব্যবস্থায় উলেমা শ্রেণীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং ইসলামী শাস্ত্র ও আইন কানুন অনুযায়ী শাসন পরিচালিত হতো। দিল্লির শাসকেরা ইসলামী জগতের প্রধান ধর্মগুরু খলিফার প্রতি অনুগত ছিল। রাষ্ট্রের করব্যবস্থা ইসলামী শরীয়ত নির্দেশিত নীতিমালা মেনে কার্যকর করা হতো। কিন্তু যারা এই মতের বিপক্ষে, তাদের য...