রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মিশরের রানি ক্লিওপেওট্রার কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো। ক্লিওপেট্রা : ক্লিওপেট্রা ছিলেন প্রাচীন মিশরের টলেমি রাজবংশের একজন কিংবদন্তী নারী, রাজকন্যা ও শাসক। প্রাচীন বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়েকজন নারী নিজ প্রতিভাগুণে অমর হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দ্বাদশ টলেমির কন্যা সপ্তম ক্লিওপেট্রা , যিনি ক্লিওপেট্রা নামেই পৃথিবীর ইতিহাসে পরিচিতি পেয়েছেন। সহ-শাসক ক্লিওপেট্রা : গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তাঁর অন্যতম সেনাপতি টলেমি মিশর আক্রমণ করেন এবং সেখানে টলেমি বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই বংশের দ্বাদশ টলেমির কন্যা ছিলেন ক্লিওপেট্রা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে পিতার সঙ্গে সহ শাসক হিসাবে মিশরের শাসন পরিচালনায় হাত দেন । ক্লিওপেট্রার সিংহাসন লাভ : তৎকালীন প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একাকী কোন শাসক শাসন কাজ পরিচালনা করতে পারতেন না। তাই পিতার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং মিশরের সিংহাসনে নিজ দখলে রাখেন। ক্লিওপেট্রা ও রোমান আক্রমণ : সিংহাসন লাভের কয়েক বছরের মধ্যে খ্রীষ্টপূর্বা ৪৭ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিশর আক্রমণ করেন। এই
প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থানের ওপর একটি প্রবন্ধ রচনা করো। সমাজে নারীর অবস্থান : প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমের মত ভারতীয় নারীরাও সমাজে বিশিষ্ট স্থান অধিকার লাভ করেছিল। তবে তা মূলত উচ্চশ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ঋগবৈদিক যুগে নারীর অবস্থান : নারীর গুরুত্ব : পুত্র সন্তান কাম্য হলেও নারীরা মেটেও অবহেলিত ছিল না। নারী শিক্ষা : নারীরা যথেষ্ট শিক্ষার সুযোগ লাভ করেছিল। এ যুগের উল্লেখযোগ্য বিদুষী নারী ছিলেন - লোপমুদ্রা, ঘোষা, অপলা মমতা প্রমুখ। বেদ পাঠের অধিকার : এই সময় নারীদের বেদ পাঠের অধিকার ছিল বলেও জানা যায়। এমনকী বেদের স্তোত্র রচনায় অংশ নিয়েছিল বলে জানা যায়। পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর অবস্থান : নারীর গুরুত্ব হ্রাস : এই সময় নারী বেদ পাঠের অধিকার হারায়। নারী শিক্ষা উপেক্ষিত : তৈত্তিরীয় সংহিতায় নারী শিক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানান হয়। ফলে নারী শিক্ষা ব্যাহত হয়। তা সত্ত্বেও এ সময় কোন কোন নারী উচ্চশিক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। যেমন, গার্গী, মৈত্রেয়ী প্রমুখ। প্রতিবাদী আন্দোলনের যুগে নারীর অবস্থান : নারী শিক্ষা : বৌদ্ধ গ্রন্থ বিনয়পিটক থেকে জানা যায় এই সময় নারীদের বিদ্যা শিক্ষাকে স্বীকৃতি