সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দ্বিতীয় সেমিস্টার : ষষ্ঠ অধ্যায় লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ

ইউরোপে ‘মুদ্রণ বিপ্লবে’র পটভূমি আলোচনা করো ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপে মুদ্রণযন্ত্রের সাহায্যে বই ছাপার কাজ শুরু হয়। জোহানেস গুটেনবার্গ ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে চলনশীল ধাতু নির্মিত অক্ষরের মাধ্যমে আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করলে ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের সূচনা হয়। মুদ্রণ বিপ্লবের কারণ বা পাটভূমি : ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবের পটভূমি বা কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কাগজ তৈরীর কৌশল : চিনারা প্রথম কাগজ তৈরীর কৌশল আয়ত্ত করে। আরবীয় প্রযুক্তিবিদদের মাধ্যমে স্পেন হয়েতা ইউরোপে পৌঁছালে মুদ্রণ বিপ্লবের পথ প্রশস্থ হয়। কাগজের সহজলভ্যতা : আরবদের দ্বারা ট্রিপ হ্যামার আবিষ্কার ও তার ব্যবহারের ফলে উন্নতমানের কাগজ তৈরীর কৌশল আয়ত্তে আসে। এই কৌশলও আরবদের মাধ্যমে  ১১৫০ সালে স্পেন হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। ফলে কাগজ সহজলভ্য হয়ে ওঠে। উন্নত মুদ্রাণযন্ত্রের আবিষ্কার : গুটেনবার্গ জার্মানির মেইন শহরে চলনশীল ধাতু নির্মিত অক্ষর আবিষ্কার ও তার ব্যবহার করে উন্নত মানের মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করলে মুদ্রণ বিপ্লবের পথ ত্বরান্বিত হয়। ধাতু শিল্পের অগ্রগত...

কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রের জনক’ বলা হয়?

কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক’ বলা হয়? কাকে, কেন ‘আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রের জনক’ বলা হয়? জার্মানির মেইন্জ শহরের অধিবাসী জোহানেস গুটেনবার্গ, যিনি প্রথম জীবনে একজন স্বর্ণকার ছিলেন, ‘আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক ’ নামে পরিচিত।  গুটেনবার্গ অনেক বছর ধরে মুদ্রণশিল্পের উন্নতির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এই চেষ্টার সূত্র ধরেই ১৪৩৯ সালে তিনি মুদ্রণযন্ত্রে ধাতব অক্ষরের ব্যবহার শুরু করেন। তৈলাক্ত কালী ও কাঠের মুদ্রণ প্রেস ব্যবহার করে তিনি এই মুদ্রণের কাজ চালাচ্ছিলেন। ১৪৪৮ সালে এসে বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র তৈরি করেন। এই যন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, চলমান ধাতু নির্মিত অক্ষরের ব্যবহার । এভাবে দীর্ঘদিন চেষ্টা করার পর ১৪৫৪ সালে চলমান ধাতব অক্ষর ব্যবহার করে আধুনিক মানের মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন। আর এ কারণেই তাঁকে ‘ আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের জনক’ বলা হয়। মনে রাখা দরকার, তাঁর এই যুগান্তকারী অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালের ‘ টাইম লাইফ’  ম্যাগাজিন তাঁর এই আবিষ্কারকে ‘ দ্বিতীয় সহস্রাবদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার’ বলে উল্লেখ করেছেন। -----------xx----------- এই প্রশ্ন...

ইউরোপে মন্ত্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান

 ইউরোপে মুদ্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান কী ছিল? ইউরোপে মন্ত্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার, যন্ত্র তৈরীর কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া এবং প্রকাশিত বই সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের মুদ্রণ জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে ‘ মুদ্রণ বিপ্লব’ বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি জার্মানিতে জোহানের গুটেনবার্গের মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের পর ইউরোপে যে মুদ্রণ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল তার পটভূমি রচনায় আরবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আরবের মুসলিম শাসকরা তালাশের যুদ্ধের সময় চীন থেকে সুদক্ষ কাগজ প্রস্তুতকারক কারিগরদের বন্দী করে আনেন তাদের কাছ থেকে কাগজ তৈরীর মূল কৌশল শিখে নেন। পরবর্তীকালে আরবদের হাতে কাগজ তৈরীর প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়। শণের ও ট্রিপ হ্যামারের ব্যবহার ফলে এই উন্নতি সম্ভব হয়। কাগজ তৈরির প্রযুক্তি উন্নত হলে আরবরাকাগজ তৈরির কারখানা গড়ে তোলায় মনোযোগ দেয়। সর্বপ্রথম সমরখন্দে এই কারখানা গড়ে ওঠে। এরপর আরবদের হাত ধরে একে একে বাগদাদ, দামাস্কাস, মরক্কো হয়ে স্পেনে পৌঁছে যায় কাগজ তৈরির কৌশল। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ইউর...

জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো?

জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? জ্যোতির্বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? প্রাচীনকাল থেকেই মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের অসীম আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল। মহাকাশ জুড়ে বিস্তৃত জ্যোতিষ্কগুলি নিয়ে প্রাচীন পৃথিবীতে দুই ধরনের বিষয়ের চর্চা হত। একটি হল জ্যোতিষশাস্ত্র বা অ্যাস্ট্রলজি (Astrology) এবং দ্বিতীয়টি হল জ্যোতির্বিজ্ঞান বা অ্যাস্ট্রোনমি(Astronomy)। জ্যোতির্বিজ্ঞান কী : জ্যোতির্বিজ্ঞান বা অ্যাস্ট্রোনমি (Astronomy) এই ইংরেজি কথাটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ যুক্ত হয়ে। একটি হল Astron, যার অর্থ জ্যোতিষ্ক। অন্যটি হল Nomos, যার অর্থ বিন্যাস। সুতরাং জ্যোতির্বিজ্ঞান হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সেই শাখা, যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত গ্রহ-নক্ষত্র সহ সমস্ত জ্যোতিষ্ক মন্ডলের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যুক্তিবিজ্ঞান মেনে ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিচার বিশ্লেষণ করে এবং সে সম্পর্কে প্রকৃত সত্য উপলব্ধির চেষ্টা করে। মনে রাখতে হবে, মূলত ইউরোপীয় নবজাগরণের সময় থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান দুটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। সপ্তদশ শতকের শেষ থেকে অষ্টাদশ শতকের প্রথম অর্ধের মধ্যে মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, জ্যোতিষশাস...

মুদ্রণবিপ্লব কী?

মুদ্রণবিপ্লব কী? মুদ্রণবিপ্লব কী? ইউরোপে নবজাগরণপ্রসূত চিন্তাচেতনার প্রসারের সূত্র ধরে জার্মানিতে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার হয়। গুটেনবার্গের এই আবিষ্কার এবং চিনের কাগজ তৈরির কৌশল আরবদের দ্বারা ইউরোপে পৌঁছালে, মুদ্রণশিল্পের ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়। এরপর জার্মানি থেকে মুদ্রণযন্ত্র তৈরীর এই কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে পঞ্চদশ শতকের শেষ থেকে ষোড়শ শতকের প্রথমার্ধের মধ্যে ইউরোপে মুদ্রণশিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে। এই অগ্রগতির ফলে হাতে লেখা পুঁথির পরিবর্তে মুদ্রণযন্ত্রের সাহায্যে বই ছাপা শুরু হয়। এই বইগুলি হাতে লেখা পুথির থেকে তুলনামূলকভাবে সস্তা, সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠায় বইয়ের চাহিদাও বেড়ে যায়। এইভাবে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার , যন্ত্র তৈরীর কৌশল ও মুদ্রণ পদ্ধতি সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া এবং প্রকাশিত বই সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপের মুদ্রণ জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে ‘ মুদ্রণ বিপ্লব’  বলে অভিহিত করা হয়। ---------xx-------- এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে : মুদ্রণ বিপ্লব কাকে বলে? মুদ্রণ বিপ্লব বলতে কী বোঝো?...

ভৌগোলিক আবিষ্কারের সুদূরপ্রসারী ফলাফল

ভৌগোলিক আবিষ্কারের সুদূরপ্রসারী ফলাফল আলোচনা করো ভৌগোলিক আবিষ্কারের সুদূরপ্রসারী ফলাফল ভৌগোলিক আবিষ্কার পৃথিবীর ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী ঘটনা। কারণ, এর ফলাফল বা তাৎপর্য ছিল গভীর ও সুদূরপ্রসারী। প্রকৃত অর্থে পৃথিবীর চেহারাটাই পাল্টে গিয়েছিল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলাফল : ভৌগোলিক জ্ঞানবৃদ্ধি :   ভৌগোলিক অভিযানের ফলে ইউরোপীয়দের ভৌগোলিক জ্ঞানের প্রসার ঘটে। ১) ম্যাগেলান ও তাঁর সঙ্গীদের অভিযানের ফলে প্রমাণিত হয় পৃথিবী চ্যাপ্টা নয়, গোলাকার। ২) উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সহ পৃথিবীর বহু নতুন দেশ ও মহাদেশের কথা তারা জানতে পারে।  ৩) আবিষ্কার হয় প্রাচ্যে যাওয়ার জলপথ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক :   ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলে নতুন দেশগুলির সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে ইউরোপীয়দের পরিচয় ঘটে। এই পরিচয় সূত্রে উভয়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুরু হয়। নতুন বাণিজ্য পথ : এতদিন ভূমধ্যসাগর ও তার তীরবর্তী অঞ্চল ছিল ইউরোপের বাণিজ্য ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগের নতুন পথ হিসেবে আটলান্টিক মহাসাগর...

ভৌগোলিক আবিষ্কারের কারণ

ভৌগোলিক আবিষ্কারের কারণগুলো আলোচনা করো। ভৌগোলিক আবিষ্কারের কারণ ভৌগোলিক আবিষ্কার : পঞ্চদশ শতকের ইউরোপে নবজাগরণ , বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ও নৌপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে ইউরোপীয়দের মধ্যে অজানাকে জানা এবং অচেনাকে চেনার অদম্য ইচ্ছা জেগে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ সামুদ্রিক অভিযানে অংশ নেয়। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নতুন নতুন ভূখণ্ড বা দেশ আবিষ্কার হতে থাকে। নতুন ভূখণ্ড আবিষ্কারের এই ঘটনা ‘ ভৌগোলিক আবিষ্কার’ নামে পরিচিত। এইভাবে  সমগ্র পঞ্চদশ শতক জুড়ে ইউরোপীয়রা একের পর এক নৌ-অভিযানের মাধ্যমে পৃথিবীর নতুন নতুন ভূখণ্ড আবিষ্কার করে। আর এই কারণে পঞ্চদশ শতকে ‘ ভৌগোলিক আবিষ্কারের যুগ’ বলা হয়। ভৌগোলিক আবিষ্কারের কারণ বা পটভূমি : খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক থেকে ইউরোপীয় দেশগুলি যে দুঃসাহসিক ভৌগোলিক অভিযান শুরু করে তার পিছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। কৃষি ও শিল্পবিপ্লব : পঞ্চদশ শতকে নবজাগরণের প্রভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটে। নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির জন্ম হয়। এইসব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ‘কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে বিপ্লব’ সংঘটিত হয়। ফলে শিল...

কাকে, কেন ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক’ বলা হয়?

কাকে, কেন ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক’ বলা হয়? কাকে, কেন ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক’ বলা হয়? Who,why is called the 'Father of Modern Astronomy? নিকোলাস কোপার্নিকাস ছিলেন একজন ভুবন-বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে পোল্যান্ডের তোরুন শহরে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী ছিলেন ইউরোপীয় নবজাগরণের একজন ধারক, বাহক ও পৃষ্ঠপোষক। সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তত্ত্বের তিনিই ছিলেন প্রথম আধুনিক প্রবক্তা । গভীর পর্যবেক্ষণ এবং গাণিতিক হিসাব নিকাশের মাধ্যমে তিনি টলেমির পৃথিবীকেন্দ্রিক তত্ত্বকে খারিজ করে এই নতুন তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। এই তত্ত্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মত হল : মহাবিশ্বের কেন্দ্র বলে কিছু নেই , পৃথিবীর কেন্দ্র মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়।  প্রতিটি গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যবিন্দু হল সূর্য । সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ও তার অন্যান্য উপগ্রহগুলি তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে উপবৃত্তাকারে প্রদক্ষিণ করে।  পৃথিবী নিজে গতিশীল বলেই দূরের গ্রহগুলিকে চলমান মনে হয়। পৃথিবী প্রদক্ষিণরত বলেই মানুষের দৃষ্টিতে সূর্যের অবস্থান পাল্টে যায়। ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর  ‘ On the Revolut...

কাকে, কেন ‘আধুনিক পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ’ বলা হয়?

কাকে, কেন ‘আধুনিক পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ’ বলা হয়? কাকে, কেন ‘আধুনিক পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ’ বলা হয়? Who, why is called the ‘Pioneer of Modern Experimental Science’ ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর ইতালিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ইউরোপীয় নবজাগরণ । এই নবজাগনের যুগে সূচনার অব্যবহিত পূর্বেই কিছু মানুষের মধ্যে জন্ম নেয় জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নতুন নতুন চেতনা। এই নতুন চেতনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল যুক্তিবাদ , মানবতাবাদ ও বিজ্ঞানমনস্কতা । বিজ্ঞানমনস্কতা বলতে বোঝায় এমন এক চেতনাকে, যা মানুষকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সত্য উপলব্ধিতে অনুপ্রাণিত করে। একজন খ্রিস্টীয় সন্ন্যাসী হওয়া সত্বেও রজার বেকনের মধ্যে ছিল এই বিজ্ঞানমনস্কতার উজ্জল উপস্থিতি। বিজ্ঞানমনস্কতার কারণেই তিনি মনে করতেন, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোন তত্ত্বকে বিনা পরীক্ষায় গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ, কেবলমাত্র হাতে-কলমে পরীক্ষার দ্বারাই বিজ্ঞানের সত্য আবিষ্কার করা সম্ভব। এই কারণে তিনি নিজেও বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রকাশের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপরে জোর দিতেন। তাঁর এই ভাবনার প্রভাবে আধুনিক বিজ্ঞানচ...

'বৈজ্ঞানিক বিপ্লব' বলতে কী বোঝো?

'বৈজ্ঞানিক বিপ্লব' বলতে কী বোঝো? 'বৈজ্ঞানিক বিপ্লব' বলতে কী বোঝো? What do you mean by ‘Scientific Revolution’? ‘ বিপ্লব ’ শব্দের অর্থ হল ‘ আমল পরিবর্তন ’। সুতরাং, সহজ কথায়, ‘বৈজ্ঞানিক বিপ্লব’ হল বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নয়ন বা অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন। তবে, এই পরিবর্তন ছিল (বৈজ্ঞানিক বিপ্লব) একটি ধারাবাহিক ঘটনা, যার সূচনাকাল ধরা হয় ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে কোপার্নিকাসের ‘ On the Revolutions of the Celestial Spheres ’ নামক গ্রন্থ প্রকাশের সময়কে। মূলত এই সময় থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার জয়যাত্রার শুরু ধরা হয়। মানব সভ্যতার অগ্রগতির ইতিহাসে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব ও তার প্রসার এক উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৪৫৩ সালের কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর ইতালিকে কেন্দ্র করে ইউরোপে যে নবজাগরণের সূচনা হয়েছিল, তার ফলে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে। এরপর ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকব্যাপি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক ও অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে। এই উন্নতির প্রভাবে কৃষি, শিল্প, সামরিক, মুদ্রণ, চিকিৎসা, মহাকাশ ও সমুদ্র বিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নতুন নতুন...

বিজ্ঞান কী?

বিজ্ঞান কী? বিজ্ঞান কী? বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? ‘ বিজ্ঞান ’ কথাটি এসেছে ইংরেজি ‘Science’ শব্দ থেকে। আর ‘Science’ কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘ Scientia ’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘বিশেষ জ্ঞান’ । এই বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞান হল প্রকৃতি ও সমাজ সম্পর্কিত সেই জ্ঞান বা সাধনা, যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ও সামাজিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে এবং প্রকৃত-সত্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানের আবির্ভাব : পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পর থেকেই বিজ্ঞানচর্চা শুরু হয়েছে। মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে সাথে এই চর্চা আধুনিক বিজ্ঞান সাধনায় রূপ নিয়েছে। এই আধুনিক বিজ্ঞান হল, প্রাকৃতিক ও সামাজিক ঘটনাবলী ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক (কার্যকারণ সম্পর্ক) সম্বন্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধ জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি। বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণ ধারণা : বর্তমানে আমরা সাধারণভাবে বিজ্ঞান বলতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা যেমন পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূবিদ্যা, জীববিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, পূর্তবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা, মনোবিদ্যা ইত্যাদিকে বুঝি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে, জগ...