সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নব্য রাজতন্ত্র লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নতুন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান

‘নতুন রাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান কী ছিল? নতুন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান সপ্তম হেনরি ছিলেন ইংল্যান্ডের টিউডর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ১৪৮৫ সালে তিনি যে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে ‘নতুন রাজতন্ত্র’ বা ‘ নব্য রাজতন্ত্র ’ নামে পরিচিত। এটা তিনি সম্ভব করেছিলেন, ইংল্যান্ডের শাসনতন্ত্রে বেশ কিছু অভিনব পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে। যেমন, ১) ব্যারনদের ক্ষমতা হ্রাস :  এর আগে ইংল্যান্ডের রাজপরিবারগুলোর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে সামন্তপ্রভুরা (ব্যারন) নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতেন। সপ্তম হেনরি এদের পরিবর্তে স্পেন, ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের রাজপরিবারগুলির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের নীতি গ্রহণ করেন। ফলে ব্যারনদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ২) সামন্ত প্রভুদের দমন :  ১৪৮৭ সালে তিনি ‘ স্টার চেম্বার আইন ’ পাস করে সামন্তপ্রভুদের ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী রাখার প্রথা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন। ৩) মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মর্যাদা বৃদ্ধি : সরকারি উচ্চপদ ও মন্ত্রীপদে অভিজাত সামন্তদের নিয়োগ না করে তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে উচ্চপদে নিয়োগের নীতি গ্রহণ করে

‘নব্য রাজতন্ত্র’ বলতে কী বোঝো?

‘নব্য রাজতন্ত্র’ বলতে কী বোঝো? ‘নব্য রাজতন্ত্র’ বলতে কী বোঝো? ইংল্যান্ডের টিউটর বংশীয় শাসক সপ্তম হেনরি (হেনরি টিউডর) ১৪৮৫ সালে ইংল্যান্ডে যে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তাকে নতুন রাজতন্ত্র বা নব্য রাজতন্ত্র বলা হয়। কারণ, তিনি ইংল্যান্ডের সংবিধান বা শাসনতান্ত্রে বেশ কিছু অভিনব পরিবর্তন এনেছিলেন। এই পরিবর্তনগুলো নব্য রাজতন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পরিবর্তনগুলো (বা বৈশিষ্ট্য) হল : ইংল্যান্ডের শাসনব্যবস্থায়  ব্যারন ও সামন্ত প্রভুদের ক্ষমতা হ্রাস করে ,  পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি  করা হয়, ইংল্যান্ডের যুক্তিবাদ চিন্তা চেতনার প্রসার ঘটানো হয় এবং  ধর্ম সংস্কার আন্দোলনকে উৎসাহিত করা হয় । ফলে জন্ম নেয় প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মীয় মতবাদ। সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে  মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতা ও মর্যাদা  বৃদ্ধি করা হয়,   বিচার বিভাগের মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।   বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়। ‘ অ্যাক্ট  অফ সুপ্রিমেসি ’ পাস করার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের চার্চ ও রাষ্ট্র —উভয়ের ওপর রাজার সার্বভৌমত্ব স্থাপিত হয় এবং পোপের ক্ষমতা খর্ব করা হয়।