‘নব্য রাজতন্ত্র’ বলতে কী বোঝো?
‘নব্য রাজতন্ত্র’ বলতে কী বোঝো? |
ইংল্যান্ডের টিউটর বংশীয় শাসক সপ্তম হেনরি (হেনরি টিউডর) ১৪৮৫ সালে ইংল্যান্ডে যে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তাকে নতুন রাজতন্ত্র বা নব্য রাজতন্ত্র বলা হয়। কারণ, তিনি ইংল্যান্ডের সংবিধান বা শাসনতান্ত্রে বেশ কিছু অভিনব পরিবর্তন এনেছিলেন। এই পরিবর্তনগুলো নব্য রাজতন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পরিবর্তনগুলো (বা বৈশিষ্ট্য) হল :
- ইংল্যান্ডের শাসনব্যবস্থায় ব্যারন ও সামন্ত প্রভুদের ক্ষমতা হ্রাস করে, পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়,
- ইংল্যান্ডের যুক্তিবাদ চিন্তা চেতনার প্রসার ঘটানো হয় এবং ধর্ম সংস্কার আন্দোলনকে উৎসাহিত করা হয়। ফলে জন্ম নেয় প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মীয় মতবাদ।
- সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়,
- বিচার বিভাগের মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।
- বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়।
- ‘অ্যাক্ট অফ সুপ্রিমেসি’ পাস করার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের চার্চ ও রাষ্ট্র —উভয়ের ওপর রাজার সার্বভৌমত্ব স্থাপিত হয় এবং পোপের ক্ষমতা খর্ব করা হয়। এবং
- আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সাম্রাজ্যবিস্তারকে উৎসাহিত করা হয়।
সুতরাং নব্য রাজতন্ত্র বলতে ইংল্যান্ডের ব্যারন ও সামন্তপ্রভুদের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, পোপের প্রভাবমুক্ত এবং নতুন জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রভাবে গড়ে ওঠা শক্তিশালী রাজতন্ত্রকে বোঝানো হয়।
--------xx-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন