সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দ্বিতীয় অধ্যায় - গ বিভাগ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

প্রাচীন, মধ্য ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য বাংলা 👉 English অথবা,  প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে তুলনা করো।

মধ্যপ্রস্তর যুগ বলতে কোন সময়কালকে বোঝানো হয়? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো

'মধ্যপ্রস্তর যুগ' ও তার বৈশিষ্ট্য প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্ব ( ১৫ হাজার বছর আগে ) থেকে হোলোসিন যুগের সূচনা পর্ব ( ১০ হাজার বছর ) পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বলে। অন্যভাবে বলা বলা যায়, খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে 'মধ্য প্রস্তর যুগ' বলা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ ১) সময়কাল : মধ্য প্রস্তর যুগ খ্রিষ্টপুর্ব ১৫ হাজার বছর থেকে ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২) হাতিয়ার :  এই যুগের ( মধ্য প্রস্তর যুগ ) হাতিয়ারগুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ছোটো ছিল। পাথর ছাড়া জীবজন্তুর হাড়, দাঁত ইত্যাদিও হাতিয়ার তৈরিতে ব্যবহার করা হত। ৩) জীবিকা ও জীবনযাপন : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। এবং জীবনযাত্রা ছিল অর্ধ যাযাবর প্রকৃতির। ৪) কৃষিকাজ : যুগের শেষ পর্বে মানুষ কৃষিকাজের সূচনা করে। ৫) পোষাক :  মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মত গাছের ছাল ও পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানাত। তবে এই পোশাক আগের চেয়ে উন্নতমানের ছিল। ৬) যানবাহন : এই ...

প্রাচীন প্রস্তর বলতে কী বোঝ? প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে (৫০ হাজার - ১৫ হাজার আগে) পৃথিবীতে প্রায়-মানুষেরা ( হোমো ইরেক্টাস)  পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহারকারী মানুষের সময়কালকে (যুগকে) 'প্রাচীন প্রস্তর যুগ' বলা হয়। প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল : প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন প্রস্তর  যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই যুগের মানুষ বিভিন্ন ধরণের পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই পর্বের মানুষ পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই যুগের শেষ দিকে মানুষ তীরধনুক আবিষ্কার করে। এই পর্বের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত পশু শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মাছ ধরে। এই সময় মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই তারা কাঁচা মাংস খেত। মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। অর্থাৎ তাদের ...

হোমো স্যাপিয়েন্স কাদের বলা হয়? হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

হোমো স্যাপিয়েন্স 'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'।  হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে  হোমো স্যাপিয়েন্স  বা  আধুনিক মানুষ  বলা হয়। উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব। হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ এই প্রজাতির মানুষের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে। হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে এদের আবির্ভাব হয়। এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি। এই আয়তনের কারণে এই প্রজাতির মানুষের বৌদ্ধিক উন্নতি লক্ষ করা যায়। তাই এদের নাম হয়  হোমো স্যাপিয়েন্স বা  বুদ্ধিমান মানুষ । এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শীতা অর্জন করে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও চাহিদা পূরণের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে। এই ক্ষমতার কারনেই তারা সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সর্বপ্...

কোয়াটারনারি যুগ কাকে বলে? কোয়াটারনারি যুগের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে কোয়াটারনারি যুগ বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে তুষার যুগ (Ice Age) বর্তমান ছিল। মোট ৪ বার তুষার যুগের আবির্ভাগ হয়। ২) বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বহু প্রজাতির প্রাণী পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যেমন, ম্যামথ, ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশালাকার পাখি। ৩) এই যুগেই মাটির বর্তমান গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। ৪) এই যুগে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়। এবং মানব সভ্যতার সূচনা হয়। ৫) মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজবদ্ধ হওয়ার চিন্তা দানা বাঁধে। ৬) এই যুগের প্রথম পর্বের ( প্লেইস্টোসিন যুগের ) শেষ ভাগে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে। ফলে মানুষ প্রস্তর ( প্রাচীন প্রস্তর যুগে ) যুগে প্রবেশ করে। ৭) এই যুগের দ্বিতীয় পর্বে ( হোলোসিন যুগের ) নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ কৃষি কাজের কৌশল আবিষ্কার, আগুনের ব্যবহার শেখে রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করে। ৮) এই যুগের দ্বিত...