হোমো স্যাপিয়েন্স
'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'। হোমো ইরেক্টাস ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষ বলা হয়।
উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব।
হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ
- এই প্রজাতির মানুষের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে।
- হোমো ইরেক্টাস ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে এদের আবির্ভাব হয়।
- এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি। এই আয়তনের কারণে এই প্রজাতির মানুষের বৌদ্ধিক উন্নতি লক্ষ করা যায়। তাই এদের নাম হয় হোমো স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষ।
- এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।
- এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শীতা অর্জন করে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও চাহিদা পূরণের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে।
- এই ক্ষমতার কারনেই তারা সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সর্বপ্রথম সমাজ গড়ে তোলে।
- এরা সোজা হয়ে হাঁটতে পারত।
- আগুনের ব্যবহার জানত। ফলে এদের মধ্যে মাংস পুড়িয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন