'মধ্যপ্রস্তর যুগ' ও তার বৈশিষ্ট্য
প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্ব ( ১৫ হাজার বছর আগে ) থেকে হোলোসিন যুগের সূচনা পর্ব ( ১০ হাজার বছর ) পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বলে। অন্যভাবে বলা বলা যায়, খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে 'মধ্য প্রস্তর যুগ' বলা হয়।
মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ
১) সময়কাল : মধ্য প্রস্তর যুগ খ্রিষ্টপুর্ব ১৫ হাজার বছর থেকে ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
২) হাতিয়ার : এই যুগের ( মধ্য প্রস্তর যুগ ) হাতিয়ারগুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ছোটো ছিল। পাথর ছাড়া জীবজন্তুর হাড়, দাঁত ইত্যাদিও হাতিয়ার তৈরিতে ব্যবহার করা হত।
৩) জীবিকা ও জীবনযাপন : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। এবং জীবনযাত্রা ছিল অর্ধ যাযাবর প্রকৃতির।
৪) কৃষিকাজ : যুগের শেষ পর্বে মানুষ কৃষিকাজের সূচনা করে।
৫) পোষাক : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মত গাছের ছাল ও পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানাত। তবে এই পোশাক আগের চেয়ে উন্নতমানের ছিল।
৬) যানবাহন : এই যুগের মানুষ কুকুরে টানা শ্লেষ গাড়ির ব্যবহার জানত। এবং গাছের গুড়ি খোদাই করে নৌকা বানাতে জানত।
৭) চিত্রকলা : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ ছবি আঁকায় পটু ছিল। তারা জ্যামিতিক আকারের ত্রিকোণ, চতুষ্কোণ ও বৃত্তাকার ছবি আঁকরে।
৮) নিদর্শন : মধ্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে উত্তর ইউরোপে এবং ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন