সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট - ১

একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট - ১

Class XI Chapter-I Correct Answer Set-I,একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর,
একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর নির্বাচন। সেট -১

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো :

Class XI Chapter-I Correct Answer Set-I

১) ইতিহাস হল —

ক) মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ
খ) অতীতকালের কাহিনী 
গ) প্রাচীন রাজা মহারাজাদের রাজত্বকালের বিবরণ 
ঘ) অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ। 

২) ইতিহাসের সংজ্ঞা প্রথম দিয়েছিলেন —

ক) ভারতীয়রা, খ) গ্রীকরা
গ) আরবরা, ঘ) রোমানরা

৩) ‘হিস্টরি’ (History) শব্দটি এসেছে যে ল্যাটিন শব্দ থেকে তাহল—

ক) Historia খ) Histor
গ) Histoium, ঘ) Historic থেকে।

৪) History শব্দটি যে গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে তা হল—

ক) Historia খ) Histor
গ) Histoium, ঘ) Historic থেকে।

৫) কাকে ইতিহাসের জনক বলা হয়? 

ক) সক্রেটিসকে, খ) প্লেটোকে, 
গ) হেরোডেটাসকে, গ) থুকিডিডিসকে

৬) হেরোডেটাসকে ‘ইতিহাসের জনক’ বলেছেন কে? 

ক) প্লেটো, খ) ট্রিবেনিয়ান, 
গ) সিসেরো, ঘ) ট্যাসিটাস

৭) আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বের জনক বলা হয়—

ক) থুকিডিডিসকে, খ) সক্রেটিসকে,
গ) লিওপোল্ড ভন রাঙ্কেকে, ঘ) ইবন বতুতাকে।

৮) সি-মা-কিয়েনকে বলা হয়—

ক) ব্রিটিশ ইতিহাসের জনক, খ) চিনা ইতিহাসের জনক
গ) গ্রিক ইতিহাসের জনক, ঘ) ভারতীয় ইতিহাসের জনক। 

৯) “ইতিহাস হল দর্শনের একটি শাখা” —কে বলেছেন? 

ক) হেরোডেটাস, খ) থুকিডিডিস, 
গ) সক্রেটিস, ঘ) ভিনসেন্ট স্মিথ।

১০) “History is the science of men in time”—কার কথা? 

ক) ই এইচ কার,খ) হেরোডোটাস, 
গ) আর্নল্ড টয়েনবি, ঘ) মার্ক ব্লখ

১১) “ইতিহাস হল অতীত ও বর্তমানের মধ্যে অন্তহীন কথোপকথন।”—কে বলেছেন?

ক) ই এইচ কার, খ) লর্ড অ্যাকটন,
গ) ফ্রান্সিস বেকন, ঘ) জে বি বিউরি

১২) “ইতিহাস হল প্রকৃত অর্থেই বিজ্ঞান— তার বেশি বা কম নয়।” —কোন্ ঐতিহাসিক বলেছেন? 

ক) রমেশ চন্দ্র মজুমদার, খ) জে বি বিউরি
গ) ই এইচ কার, ঘ) হেরোডেটাস।

১৩) “তথ্যের বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন ছাড়া ইতিহাস চর্চা একেবারেই অর্থহীন।” ইতিহাসকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন—

ক) ঐতিহাসিক ফুকো, খ) ঐতিহাসিক ই এইচ কার, 
গ) ঐতিহাসিক লর্ড অ্যাকটন,ঘ) ঐতিহাসিক ব্যারাক্লাফ।

১৪) “ইতিহাস হল মানব সমাজের অতীতের কার্যাবলীর বিবরণী।” —বলেছেন, 

ক) থুকিডিডিস, খ) ফ্রান্সিস বেকন, 
গ) মার্ক ব্লখ, ঘ) রমেশচন্দ্র মজুমদার

১৫) “মানব সভ্যতার ইতিহাস হল শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।”—কে বলেছেন? 

ক) মার্শাল, খ) হেগেল, 
গ) কার্ল মার্কস, ঘ) হেনরি ফিরেন। 

১৬) “ইতিহাস হল মানবমুক্তির ক্রমবিকাশের কাহিনি।”—কথাটি বলেছেন, 

ক) লর্ড অ্যাকটন,খ) পল তুর্নাল,
গ) হেনরি পিরেন, ঘ) আর্নল্ড টয়েনবি।

১৭) প্রাক্ ইতিহাস কথাটির অর্থ হল—

ক) প্রায় ইতিহাস ও ইতিহাসের মধ্যবর্তী সময়কাল, 
খ) যে সময়কার লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না। 
গ) যে সময়ের লিখিত বিবরণ আছে কিন্তু পাঠোদ্ধার হয়নি, 
ঘ) যে সময়কার লিখিত বিবরণ আছে এবং তার পাঠোদ্ধার হয়েছে।

১৮) প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাসের উপাদানের প্রধান উৎস হল—

ক) লিপি, খ) মুদ্রা, 
গ) ধর্মগ্রন্থ, ঘ) জীবাশ্ম

১৯) ‘প্রাক ইতিহাস’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন—

ক) লর্ড অ্যাকটন,খ) পল তুর্নাল,
গ) রবার্ট ব্রুস ফুট, ঘ) এম সি বার্কিট

২০) প্রি-হিস্ট্রি কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন—

ক) পর তুর্নাল খ) ড্যানিয়েল উইলসন
গ) রাঙ্কে, ঘ) লর্অ্যাড ক্টন।

২১) নব্য প্রস্তর যুগের বিপ্লব কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন—

ক) জে বি বিউরি, খ) গর্ডন চাইল্ড, 
গ) উইলিয়াম জোন্স, ঘ) ড্যানিয়েল উইলসন। 

২২) ‘রেডিও কার্বন ডেটিং’ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন—

ক) রমেশ চন্দ্র মজুমদার, খ) দয়ারাম সাহানি, 
গ) গিলার্ড ফ্রাঙ্ক লিবি, ঘ) চার্লস ডারউইন।

২৩) জীবাশ্ম থেকে কারলিন কাল নির্ণয়ের জন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়? 

ক) থার্মোলুমিনিসেন্স, খ) ডেনড্রোক্রোনোলজি,
গ) কার্বন ১৪ পদ্ধতি, ঘ) এর কোনোটিই নয়। 

২৪) একটি বৃহৎ পিরামিডের উদাহরণ হল—

ক) খুফুর পিরামিড, খ) চিয়াং শেকের পিরামিড,
গ) তুতেন খামেনের পিরামিড, ঘ) ক্লিওপেট্রার পিরামিড।

২৫) এশিয়া মাইনর-এ প্রাপ্ত বোঘাজকোই লেখ থেকে জানা যায়—

ক) আর্যদের ভারত আগমনের কথা
খ) ভারতের সাথে গ্রিসের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা, 
গ) ভারত রোম বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা, 
ঘ) ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা।

২৬) গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রাকে বলা হয়—

ক) শতমান, খ) নিষ্ক,
গ) পোতিন, ঘ) দিনার

২৭) ভারতীয় চিত্রকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন রয়েছে —

ক) পাথরের সমস্ত গুহাগুলিতে, খ) অজন্তা গুহায়
গ) ভীমবেটকা গুহায়, ঘ) আলতামিরা গুহায়।

২৮) হায়রোগ্লিফিক লিপির পাঠোদ্ধার করেছিলেন কে? 

ক) ল্যান্ডন, খ) হান্টার, 
গ) গ্যাড, ঘ) জিন ফ্রাঁসোয়া চ্যাম্পেলিয়ন।

২৯) প্রাচীন ভারতের মেকিয়াভেলি বলা হয় —

ক) অশ্বঘোষকে, খ) কৌটিল্যকে, 
গ) কালিদাসকে, ঘ) তুলসীদাস কে।

৩০) পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য হল —

ক) ইলিয়াড, খ) ওডিসি,
গ) রামায়ণ, ঘ) গিলগামেশ 

৩১) ভারতে পুরাণের সংখ্যা হল—

ক) ১০ টি, খ) ১৬ টি, 
গ) ১৮ টি, ঘ) ২৫ টি।

৩২) সঙ্গম কথাটির অর্থ হল—

ক) রাজার সমালোচনা, 
খ) রাষ্ট্র সংক্রান্ত আলোচনা করা, 
গ) কবি ও পন্ডিত ব্যক্তিদের সম্মেলন
ঘ) সাধারণ মানুষের সমাবেশ।

৩৩) ভারতে আসা প্রথম বিদেশী পর্যটক হলেন—

ক) ফা হিয়েন, খ) হিউয়েন সাঙ,
গ) ইৎ-সিং, ঘ) মেগাস্থিনিস

৩৪) ভারতে নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার জনক হলেন—

ক) রামচন্দ্র গুহ, খ) রনজিৎ গুহ,
গ) সুমিত সরকার, ঘ) রজনীপাম দত্ত।

৩৫) সুলতান মাহমুদের একজন সভাকবির নাম হল—

ক) এনায়েত খান, খ) সুজন রায় ক্ষত্রি, 
গ) বদায়ুনি, ঘ) কবি ফেরদৌসী

৩৬) আমির খসরুর লেখা একটি গ্রন্থের নাম হল—

ক) তারিখ ই ফিরোজশাহী, খ) মুন্তাখাব উল লুবাব,
গ) তারিখ ই আলাই, ঘ) ফতোয়া ই জাহান্দারী।

৩৭) পাদশাহনামা থেকে কোন মুঘল শাসকের কথা জানা যায়? 

ক) আকবার, খ) শাহজাহান
গ) জাহাঙ্গীর, ঘ) ঔরাঙ্গজেব।

৩৮) হযরত মুহাম্মদের মক্কা ছেড়ে মদিনা গমনের সময়কাল থেকে কোন্ সাল গণনা করা হয়? 

ক) হর্ষাব্দ, খ) শকাব্দ, 
গ) গুপ্তাব্দ, ঘ) হিজরি

৩৯) ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিল ভারতের ইতিহাস কে কীভাবে ভাগ করেছেন? 

ক) হিন্দু, মুসলিম ও ব্রিটিশ
খ) আদি মধ্য, মধ্য ও আধুনিক 
গ) মধ্য, আধুনিক ও উত্তরাধুনিক
ঘ) প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক।

৪০) ভারতের ইতিহাসে ৬০০ থেকে ১৩০০ সাল পর্যন্ত সময়কালকে কী নামে অভিহিত করা হয়? 

ক) মধ্যযুগ, খ) উত্তরা আধুনিক যুগ, 
গ) আদি মধ্যযুগ, ঘ) পরবর্তী মধ্যযুগ।
------------xx-----------

এই অধ্যায়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর :

  1. একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট  - ১
  2. একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট  - ২
  3. একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট  - ৩
  4. একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট  - ৪
  5. একাদশ শ্রেণি। প্রথম অধ্যায়। সঠিক উত্তর। সেট  - ৫

এই অধ্যায়ের 👉অন্য ধরনের প্রশ্নগুলো দেখো :


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় প্রশ্নগুলো দেখ

নব্য প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ট লেখো।

নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই সময়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট লেখো। নব্য প্রস্তর যুগ : প্রাগৈতিহাসিক যুগের শেষ পর্বকে বলা হয় নব্য প্রস্তর যুগ বা Neolithic Age । এই পর্বে আদিম মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে ক্রমশঃ  খাদ্য উৎপাদক শ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়। আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 4000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে নব্য প্রস্তর যুগ বলা হয়। নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগের মানুষ খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। অর্থাৎ কৃষি কাজের সূচনা হয়। ২) পশু শিকারের সাথে সাথে পশুপালনের সূচনা হয়। ৩) হাতিয়ার গুলি খুবই সূচালো, ধারালো ও ক্ষুদ্র আকারের হয়। ৪) চাকার ব্যবহার শুরু হয় ৫) প্রথম আগুন জ্বালানোর কৌশল আবিষ্কার করে  ৬) যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থায়ী বসতি গড়ে উঠতে থাকে। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

জনপদ কী? প্রাচীন ভারতে জনপদ গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করো।

জনপদ কী? কীভাবে প্রাচীন ভারতে জনপদের উৎপত্তি হয়? জনপদ কী : 'জন' শব্দের অর্থ উপজাতি বা জনগোষ্ঠী। 'পদ' শব্দের অর্থ পা। চার্লস ল্যানম্যান -এর মতে, নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠী যখন কোন নির্দিষ্ট কোন ভৌগোলিক এলাকায় বসতি গড়ে তোলে তখন সেই ভৌগোলিক এলাকাকে  'জনপদ' বলে। কৌটিল্য জনপদ বলতে  নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও জনসমষ্টিকে বুঝিয়েছেন। এই জনপদে একদিকে থাকবে বিচক্ষণ উচ্চবর্ণের মানুষ বা প্রভু। অন্যদিকে থাকবে - ১) পর্যাপ্ত পরিমাণ উর্বর জমি এবং ২) সেই ভূখন্ডে থাকবে প্রচুর পরিশ্রমী কৃষক যাদের কর প্রদানের চাপ ও শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে।  জনপদ গড়ে ওঠার কারণ (পটভূমি) : আর্যদের আগমন : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে প্রবেশ করে। এর ছিল যাযাবর প্রকৃতির । কারণ, পশু খাদ্যের সন্ধানে তারা বসবাসের জায়গা পরিবর্তন করত। তবে তারা গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন যাপন করত। তাই এদের 'জন' (জনগোষ্ঠী বা উপজাতি) বলা হত।  জনসংখ্যা বৃদ্ধি : সপ্ত সিন্ধু এলাকায় উর্বর ভূমির কল্যাণে আর্যদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রবণতা বাড়ে। ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রমশ তারা অর্ধ-যাযাবর জীবনে ...

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো।

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো। মহাজনপদ ও মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য  What is Mahajanapada? Briefly write the characteristics of Mahajanapada. মহাজনপদ কী : 'মহা' অর্থ বৃহৎ। 'জনপদ' কথার অর্থ 'নির্দিষ্ট ভূখণ্ডসহ জনসমষ্টি। অর্থাৎ  ক্ষুদ্র রাজ্য। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে ভারতে উপজাতি গোষ্ঠীভিত্তিক ছোট ছোট জনপদ গড়ে উঠেছিল। এই জনপদ গুলি পরস্পরের ভূখণ্ড দখল করার তাগিদে নিজেদের মধ্যে সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত থাকতো। এই সংঘর্ষে জয় পরাজয়ের সূত্র ধরেই উত্তর ভারতে একাধিক জনপদ সংযুক্ত হয়ে যেত। ফলে বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যের জন্ম হয়। এই ধরনের বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যগুলি ' মহাজনপদ' নামে পরিচিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর তিনটি উল্লেখযোগ্য মহাজনপদের নাম হলো মগধ (রাজতান্ত্রিক), বৃজি ও মল্ল (প্রজাতান্ত্রিক)। মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য : এই মহাজনপদগুলির ভৌগোলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।           ১) উত্তর ভারত কেন্দ্রিক অবস্থান :   ডক্টর হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মতে, মহাজনপদ গুলির অধিকাংশের অবস্থ...

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

প্রাচীন, মধ্য ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য বাংলা 👉 English অথবা,  প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে তুলনা করো।

প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থান

 প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থানের ওপর একটি প্রবন্ধ রচনা করো। সমাজে নারীর অবস্থান : প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমের মত ভারতীয় নারীরাও সমাজে বিশিষ্ট স্থান অধিকার লাভ করেছিল। তবে তা মূলত উচ্চশ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।  ঋগবৈদিক যুগে নারীর অবস্থান :  নারীর গুরুত্ব : পুত্র সন্তান কাম্য হলেও নারীরা মেটেও অবহেলিত ছিল না।  নারী শিক্ষা : নারীরা যথেষ্ট শিক্ষার সুযোগ লাভ করেছিল। এ যুগের উল্লেখযোগ্য বিদুষী নারী ছিলেন - লোপমুদ্রা, ঘোষা, অপলা মমতা প্রমুখ। বেদ পাঠের অধিকার : এই সময় নারীদের বেদ পাঠের অধিকার ছিল বলেও জানা যায়। এমনকী বেদের স্তোত্র রচনায় অংশ নিয়েছিল বলে জানা যায়।  পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর অবস্থান : নারীর গুরুত্ব হ্রাস : এই সময় নারী বেদ পাঠের অধিকার হারায়।  নারী শিক্ষা উপেক্ষিত : তৈত্তিরীয় সংহিতায় নারী শিক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানান হয়। ফলে নারী শিক্ষা ব্যাহত হয়। তা সত্ত্বেও এ সময় কোন কোন নারী উচ্চশিক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। যেমন, গার্গী, মৈত্রেয়ী প্রমুখ।  প্রতিবাদী আন্দোলনের যুগে নারীর অবস্থান : নারী শিক্ষা : বৌদ্ধ গ্রন্থ বিনয়পিটক থেকে জানা...

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়?

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা আধুনিক রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল্যায়ন করো। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়? টমাস হবসের রাষ্ট্র দর্শন : সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের সমাপ্তি হয় রাজা পঞ্চম চার্লসের শিরচ্ছেদের মাধ্যমে যা 'পিউরিটান বিপ্লব' নামে পরিচিত। এই বিপ্লব এবং পরবর্তীকালের টমাস ক্রমওয়েলের প্রজাতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করার প্রেক্ষাপটে টমাস হবস লেখেন 'লোভিয়াথান' গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি রাজতন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রী সরকারের দোষ ত্রুটি তুলে ধরে যে নতুন রাষ্ট্রদর্শনের জন্ম দিয়েছিলেন তাই টমাস হাবসের রাষ্ট্রদর্শন নামে পরিচিত। টমাস হবস এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল প্রতিপাদ্য বিশ্লেষণ করলে তার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় : - টমাস হবসের রাষ্ট্রদর্শনের মূলকথা (বৈশিষ্ট্য) : ১) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের ধারণা: টমাস হবস তাঁর ‘লেভিয়াথান’ গ্রন্থে লিখেছেন, i) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের নৈরাজ্য: প্রাচীন রাষ্ট্রহীন প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ ছিল স্বভাবগতভাবেই স্বার্থপর ও আগ্রাসী। সেখানে মানুষ ঈশ্বরের চে...

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি বর্ননা করো।

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি Describe-the-reasons-or-background-for-the-development-of-city-states-in-ancient-Greece পলিস শব্দের অর্থ ' নগররাষ্ট্র '। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকে মধ্যবর্তী সময়ে গ্রিসে প্রায় ১৫০০ টি ছোট ছোট রাষ্ট্র বা সিটি স্টেট গড়ে ওঠে। এগুলির যাবতীয় কাজকর্মে নাগরিকরাই প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্ৰহণ করত। এই ছোট রাষ্ট্রগুলো পলিস বা নগর-রাষ্ট্র নামে পরিচিত। যেমন - এথেন্স, স্পার্টা ইত্যাদি। নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সামনে আসে।  ১) বৈদেশিক আক্রমণ ও  অক্টোপলিস  : আনুমানিক ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীকরা বৈদেশিক আক্রমণের ভয়ে গ্রিসের বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে শক্তিশালী কেন্দ্র গড়ে তোলে। এগুলো 'অক্টোপলিস' নামে পরিচিত। এই অক্টোপলিসকে কেন্দ্র করে ক্রমশ নগর গড়ে ওঠে এবং এই নগরকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে নগররাষ্ট্র বা পলিস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।  ২) স্থানীয় বাজার : আস্তে আস্তে এই  'অক্টোপলিস'গুলোর কাছেই স্থানীয় বাজার গড়ে উঠতে থাকে।...

মধ্যপ্রস্তর যুগ বলতে কোন সময়কালকে বোঝানো হয়? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো

'মধ্যপ্রস্তর যুগ' ও তার বৈশিষ্ট্য প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্ব ( ১৫ হাজার বছর আগে ) থেকে হোলোসিন যুগের সূচনা পর্ব ( ১০ হাজার বছর ) পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বলে। অন্যভাবে বলা বলা যায়, খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে 'মধ্য প্রস্তর যুগ' বলা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ ১) সময়কাল : মধ্য প্রস্তর যুগ খ্রিষ্টপুর্ব ১৫ হাজার বছর থেকে ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২) হাতিয়ার :  এই যুগের ( মধ্য প্রস্তর যুগ ) হাতিয়ারগুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ছোটো ছিল। পাথর ছাড়া জীবজন্তুর হাড়, দাঁত ইত্যাদিও হাতিয়ার তৈরিতে ব্যবহার করা হত। ৩) জীবিকা ও জীবনযাপন : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। এবং জীবনযাত্রা ছিল অর্ধ যাযাবর প্রকৃতির। ৪) কৃষিকাজ : যুগের শেষ পর্বে মানুষ কৃষিকাজের সূচনা করে। ৫) পোষাক :  মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মত গাছের ছাল ও পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানাত। তবে এই পোশাক আগের চেয়ে উন্নতমানের ছিল। ৬) যানবাহন : এই ...

প্রাক-ঐতিহাসিক (প্রাগৈতিহাসিক) যুগ কাকে বলে ?

  প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ মানব সভ্যতার সূচনা হয় আজ থেকে ৩৬ লক্ষ্য বছর আগে। এই সময় থেকে লিপির ব্যবহার শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়। এই সময়ের ইতিহাস রচনার কোন লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না। ফলে শুধুমাত্র প্রত্নতাত্বিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করেই ইতিহাস লেখা হয়। তবে সব দেশে একই সময়ে প্রাগৈতিহাসিক যুগের সূচনা হয়নি।  -----🙏---- বিকল্প প্রশ্ন : ১) প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো? আরও পড়ো : ১)   প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য কী ছিলো ?                     ২) প্রাগৈতিহাসিক যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ? এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাচীন প্রস্তর বলতে কী বোঝ? প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে (৫০ হাজার - ১৫ হাজার আগে) পৃথিবীতে প্রায়-মানুষেরা ( হোমো ইরেক্টাস)  পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহারকারী মানুষের সময়কালকে (যুগকে) 'প্রাচীন প্রস্তর যুগ' বলা হয়। প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল : প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন প্রস্তর  যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই যুগের মানুষ বিভিন্ন ধরণের পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই পর্বের মানুষ পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই যুগের শেষ দিকে মানুষ তীরধনুক আবিষ্কার করে। এই পর্বের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত পশু শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মাছ ধরে। এই সময় মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই তারা কাঁচা মাংস খেত। মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। অর্থাৎ তাদের ...