সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়?

আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তা আধুনিক রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে টমাস হবস-এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল্যায়ন করো। তাঁকে কেন 'উপযোগিতাবাদের অগ্রদূত' বলা হয়? টমাস হবসের রাষ্ট্র দর্শন : সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের সমাপ্তি হয় রাজা পঞ্চম চার্লসের শিরচ্ছেদের মাধ্যমে যা 'পিউরিটান বিপ্লব' নামে পরিচিত। এই বিপ্লব এবং পরবর্তীকালের টমাস ক্রমওয়েলের প্রজাতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করার প্রেক্ষাপটে টমাস হবস লেখেন 'লোভিয়াথান' গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি রাজতন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রী সরকারের দোষ ত্রুটি তুলে ধরে যে নতুন রাষ্ট্রদর্শনের জন্ম দিয়েছিলেন তাই টমাস হাবসের রাষ্ট্রদর্শন নামে পরিচিত। টমাস হবস এর রাষ্ট্রচিন্তার মূল প্রতিপাদ্য বিশ্লেষণ করলে তার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় : - টমাস হবসের রাষ্ট্রদর্শনের মূলকথা (বৈশিষ্ট্য) : ১) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের ধারণা: টমাস হবস তাঁর ‘লেভিয়াথান’ গ্রন্থে লিখেছেন, i) প্রাকৃতিক রাষ্ট্রের নৈরাজ্য: প্রাচীন রাষ্ট্রহীন প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ ছিল স্বভাবগতভাবেই স্বার্থপর ও আগ্রাসী। সেখানে মানুষ ঈশ্বরের চে

জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য জনপদ ও মহাজনপদের মধ্যে পার্থক্য Differences between Janapada and Mahajanapada জনপদ ও মহাজনপদগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ বিশ্লেষণ করলে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এগুলো হল - ১) সময়কাল : প্রাচীন আর্য উপজাতিদের বাসভুমিকে জন বলা হয়। এগুলোই খ্রিষ্টপুর্ব ১০০০-৬০০ অব্দের মধ্যে জনপদে পরিণত হয়। কিন্তু মহাজনপদগুলো গড়ে ওঠে খ্রিস্টপুর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর (৬০০) পরবর্তীকালে। ২) উদ্ভবের কারণ : লোহার ব্যবহার ও কৃষির বিকাশের সাথে সাথে জনপদগুলোর বিকাশ ঘটে।  কিন্তু জনপদগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক সংঘর্ষ ও একাধিক জনপদের পারস্পরিক সংযুক্তির মাধ্যে দিয়ে মহাজনপদের উদ্ভব হয়। ৩) আয়তন ও জনসংখ্যা : জনপদগুলোর আয়তন ছিল ক্ষুদ্রাকার ও জনসংখ্যা ছিল খুবই অল্প। গ্রিসের নগররাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করা যায়।  অন্যদিকে, মহাজনপদগুলোর আকৃতি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং জনসংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ৪) সম্পদ : জনপদের প্রধান সম্পদ ছিল গবাদি পশু।  অপরদিকে, মহাজনপদ সৃষ্টির পর কৃষির ব্যপক বিকাশ ঘটলে গরুর পাশাপাশি কৃষিজমি ও কৃষিপণ্য সম্পদ হিসাবে গুরুত্বপ

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো।

মহাজনপদ কী? মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো। মহাজনপদ ও মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য  What is Mahajanapada? Briefly write the characteristics of Mahajanapada. মহাজনপদ কী : 'মহা' অর্থ বৃহৎ। 'জনপদ' কথার অর্থ 'নির্দিষ্ট ভূখণ্ডসহ জনসমষ্টি। অর্থাৎ  ক্ষুদ্র রাজ্য। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে ভারতে উপজাতি গোষ্ঠীভিত্তিক ছোট ছোট জনপদ গড়ে উঠেছিল। এই জনপদ গুলি পরস্পরের ভূখণ্ড দখল করার তাগিদে নিজেদের মধ্যে সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত থাকতো। এই সংঘর্ষে জয় পরাজয়ের সূত্র ধরেই উত্তর ভারতে একাধিক জনপদ সংযুক্ত হয়ে যেত। ফলে বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যের জন্ম হয়। এই ধরনের বৃহৎ জনপদ বা রাজ্যগুলি ' মহাজনপদ' নামে পরিচিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর তিনটি উল্লেখযোগ্য মহাজনপদের নাম হলো মগধ (রাজতান্ত্রিক), বৃজি ও মল্ল (প্রজাতান্ত্রিক)। মহাজনপদের বৈশিষ্ট্য : এই মহাজনপদগুলির ভৌগোলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।           ১) উত্তর ভারত কেন্দ্রিক অবস্থান :   ডক্টর হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মতে, মহাজনপদ গুলির অধিকাংশের অবস্থান ছিল বিহার, উত

জনপদ কী? প্রাচীন ভারতে জনপদ গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করো।

জনপদ কী? কীভাবে প্রাচীন ভারতে জনপদের উৎপত্তি হয়? জনপদ কী : 'জন' শব্দের অর্থ উপজাতি বা জনগোষ্ঠী। 'পদ' শব্দের অর্থ পা। চার্লস ল্যানম্যান -এর মতে, নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠী যখন কোন নির্দিষ্ট কোন ভৌগোলিক এলাকায় বসতি গড়ে তোলে তখন সেই ভৌগোলিক এলাকাকে  'জনপদ' বলে। কৌটিল্য জনপদ বলতে  নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও জনসমষ্টিকে বুঝিয়েছেন। এই জনপদে একদিকে থাকবে বিচক্ষণ উচ্চবর্ণের মানুষ বা প্রভু। অন্যদিকে থাকবে - ১) পর্যাপ্ত পরিমাণ উর্বর জমি এবং ২) সেই ভূখন্ডে থাকবে প্রচুর পরিশ্রমী কৃষক যাদের কর প্রদানের চাপ ও শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে।  জনপদ গড়ে ওঠার কারণ (পটভূমি) : আর্যদের আগমন : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে প্রবেশ করে। এর ছিল যাযাবর প্রকৃতির । কারণ, পশু খাদ্যের সন্ধানে তারা বসবাসের জায়গা পরিবর্তন করত। তবে তারা গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন যাপন করত। তাই এদের 'জন' (জনগোষ্ঠী বা উপজাতি) বলা হত।  জনসংখ্যা বৃদ্ধি : সপ্ত সিন্ধু এলাকায় উর্বর ভূমির কল্যাণে আর্যদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রবণতা বাড়ে। ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রমশ তারা অর্ধ-যাযাবর জীবনে

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি বর্ননা করো।

প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি Describe-the-reasons-or-background-for-the-development-of-city-states-in-ancient-Greece পলিস শব্দের অর্থ ' নগররাষ্ট্র '। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকে মধ্যবর্তী সময়ে গ্রিসে প্রায় ১৫০০ টি ছোট ছোট রাষ্ট্র বা সিটি স্টেট গড়ে ওঠে। এগুলির যাবতীয় কাজকর্মে নাগরিকরাই প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্ৰহণ করত। এই ছোট রাষ্ট্রগুলো পলিস বা নগর-রাষ্ট্র নামে পরিচিত। যেমন - এথেন্স, স্পার্টা ইত্যাদি। নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কারণ বা পটভূমি প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সামনে আসে।  ১) বৈদেশিক আক্রমণ ও  অক্টোপলিস  : আনুমানিক ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীকরা বৈদেশিক আক্রমণের ভয়ে গ্রিসের বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে শক্তিশালী কেন্দ্র গড়ে তোলে। এগুলো 'অক্টোপলিস' নামে পরিচিত। এই অক্টোপলিসকে কেন্দ্র করে ক্রমশ নগর গড়ে ওঠে এবং এই নগরকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে নগররাষ্ট্র বা পলিস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।  ২) স্থানীয় বাজার : আস্তে আস্তে এই  'অক্টোপলিস'গুলোর কাছেই স্থানীয় বাজার গড়ে উঠতে থাকে।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

প্রাচীন, মধ্য ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য বাংলা 👉 English অথবা,  প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যে তুলনা করো।

মধ্যপ্রস্তর যুগ বলতে কোন সময়কালকে বোঝানো হয়? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো

'মধ্যপ্রস্তর যুগ' ও তার বৈশিষ্ট্য প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্ব ( ১৫ হাজার বছর আগে ) থেকে হোলোসিন যুগের সূচনা পর্ব ( ১০ হাজার বছর ) পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বলে। অন্যভাবে বলা বলা যায়, খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে 'মধ্য প্রস্তর যুগ' বলা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ ১) সময়কাল : মধ্য প্রস্তর যুগ খ্রিষ্টপুর্ব ১৫ হাজার বছর থেকে ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২) হাতিয়ার :  এই যুগের ( মধ্য প্রস্তর যুগ ) হাতিয়ারগুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের চেয়ে উন্নত ও আকারে ছোটো ছিল। পাথর ছাড়া জীবজন্তুর হাড়, দাঁত ইত্যাদিও হাতিয়ার তৈরিতে ব্যবহার করা হত। ৩) জীবিকা ও জীবনযাপন : মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ। এবং জীবনযাত্রা ছিল অর্ধ যাযাবর প্রকৃতির। ৪) কৃষিকাজ : যুগের শেষ পর্বে মানুষ কৃষিকাজের সূচনা করে। ৫) পোষাক :  মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ প্রাচীন প্রস্তর যুগের মত গাছের ছাল ও পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানাত। তবে এই পোশাক আগের চেয়ে উন্নতমানের ছিল। ৬) যানবাহন : এই যুগের মানুষ ক

প্রাচীন প্রস্তর বলতে কী বোঝ? প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে (৫০ হাজার - ১৫ হাজার আগে) পৃথিবীতে প্রায়-মানুষেরা ( হোমো ইরেক্টাস)  পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহারকারী মানুষের সময়কালকে (যুগকে) 'প্রাচীন প্রস্তর যুগ' বলা হয়। প্রাচীন প্রস্তর যুগের সময়কাল : প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন প্রস্তর  যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় ৫০ হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় ১৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই যুগের মানুষ বিভিন্ন ধরণের পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই পর্বের মানুষ পাথরকে আকারগত পরিবর্তন না করেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তাই তাদের হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার। এই যুগের শেষ দিকে মানুষ তীরধনুক আবিষ্কার করে। এই পর্বের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত পশু শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মাছ ধরে। এই সময় মানুষ আগুনের ব্যবহার জানত না। তাই তারা কাঁচা মাংস খেত। মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। অর্থাৎ তাদের মধ্যে

হাতিয়ারের ক্রমোন্নতির ভিত্তিতে পাথরের যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রস্তর (পাথরের) যুগের শ্রেণি বিভাগ প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে আধুনিক মানুষের ( হোমো স্যাপিয়েন্স) আবির্ভাব হয়। এদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটে। ফলে তারা পাথরকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শেখে। তাই এই যুগকে প্রস্তর যুগ বলা হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এই হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি লক্ষ করে এই যুগকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। যথা ঃ ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ ২) মধ্য প্রস্তর যুগ ৩) নব্য (নতুন) প্রস্তর যুগ।

হোমো স্যাপিয়েন্স কাদের বলা হয়? হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

হোমো স্যাপিয়েন্স 'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'।  হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে  হোমো স্যাপিয়েন্স  বা  আধুনিক মানুষ  বলা হয়। উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব। হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ এই প্রজাতির মানুষের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে। হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে এদের আবির্ভাব হয়। এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি। এই আয়তনের কারণে এই প্রজাতির মানুষের বৌদ্ধিক উন্নতি লক্ষ করা যায়। তাই এদের নাম হয়  হোমো স্যাপিয়েন্স বা  বুদ্ধিমান মানুষ । এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শীতা অর্জন করে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও চাহিদা পূরণের হাতিয়ার হিসাবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে। এই ক্ষমতার কারনেই তারা সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সর্বপ্রথম সমাজ গড়ে তোলে। এরা সো

হোমো স্যাপিয়েন্স কী? এই প্রজাতির বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে লেখ।

হোমো স্যাপিয়েন্স ও বৈশিষ্ট্যগুলো 'হোমো স্যাপিয়েন্স' কথার অর্থ হল 'বুদ্ধিমান মানুষ'। হোমো ইরেক্টাস  ( দণ্ডায়মান মানুষ) নামে মানব প্রজাতির দীর্ঘ বিবর্তনের মাধ্যমে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষ পর্বে যে 'বুদ্ধিমান মানুষ' মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়, তাকে হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষ বলা হয়। উদাহরণ - নিয়ান্ডারথাল মানব। হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ঃ ১) এদের আবির্ভাব হয় দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ বছর আগে। ২) এরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন,  সমাজ গড়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন,  ৪) মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ১৪০০ সিসি,  ৫) সোজা হয়ে হাঁটতে পারত,  ৬) পাথরের হাতিয়ার তৈরিতে পারদর্শী ছিল, এবং  ৭) আগুনের ব্যবহার জানত। -------x-------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ ১)  হোমো স্যাপিয়েন্স কাদের বলা হয়? হোমো স্যাপিয়েন্স-এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো । (প্রশ্নের মান - ৮)

প্লেইস্টোসিন যুগের সময়কাল লেখো। এই যুগটি কোন পাথরের যুগের সমসাময়িক?

প্লেইস্টোসিন যুগের সময়কাল এবং এই যুগটি কোন পাথরের যুগের সমসাময়িক? আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং প্রায় ১০ হাজার বছর পুর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  প্লেইস্টোসিন যুগ  বলে। পৃথিবীতে প্লেইস্টোসিন যুগের প্রথম ভাগে আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষদের প্রজাতির আবির্ভাব হয় এবং শেষভাগে হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়। এই আধুনিক মানুষই উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। ফলে তারা পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে এবং দলবদ্ধ হয়। শুরু হয় প্রাচীন প্রস্তর যুগ । সুতরাং, প্লেইস্টোসিন যুগ হচ্ছে প্রাচীন প্রস্তর যুগের সমসাময়িক। --------------x-------------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ ১) প্লেইস্টোসিন যুগ কাকে বলে? এই যুগটির সঙ্গে প্রস্তর যুগের সম্পর্ক লেখো। For English Medium Students Period of Pleistocene Age and this Age is contemporary with which stone age? The period beginning about 20 million years ago and extending to about 10,000 years ago is called the Pleistocene Age . The first part of the Pleistocene epoch the appears of the ancestral species of modern humans and the

কোয়াটারনারি যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী? এদের সময়কাল উল্লেখ করো।

কোয়াটারনারি যুগের শ্রেণি বিভাগ ও সময়কাল আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  কোয়াটারনারি যুগ  বলে। এই যুগকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন, ১) প্লেইস্টোসিন যুগ ( ২০ লক্ষ বছর - ১০ হাজার বছর পর্যন্ত ) ২) হোলোসিন যুগ ( ১০ হাজার বছর - বর্তমান কাল পর্যন্ত )

কোয়াটারনারি যুগ কাকে বলে? কোয়াটারনারি যুগের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে কোয়াটারনারি যুগ বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে তুষার যুগ (Ice Age) বর্তমান ছিল। মোট ৪ বার তুষার যুগের আবির্ভাগ হয়। ২) বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বহু প্রজাতির প্রাণী পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যেমন, ম্যামথ, ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশালাকার পাখি। ৩) এই যুগেই মাটির বর্তমান গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। ৪) এই যুগে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়। এবং মানব সভ্যতার সূচনা হয়। ৫) মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজবদ্ধ হওয়ার চিন্তা দানা বাঁধে। ৬) এই যুগের প্রথম পর্বের ( প্লেইস্টোসিন যুগের ) শেষ ভাগে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে। ফলে মানুষ প্রস্তর ( প্রাচীন প্রস্তর যুগে ) যুগে প্রবেশ করে। ৭) এই যুগের দ্বিতীয় পর্বে ( হোলোসিন যুগের ) নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ কৃষি কাজের কৌশল আবিষ্কার, আগুনের ব্যবহার শেখে রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করে। ৮) এই যুগের দ্বিতীয় প