সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নতুন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান

‘নতুন রাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান কী ছিল? নতুন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সপ্তম হেনবির অবদান সপ্তম হেনরি ছিলেন ইংল্যান্ডের টিউডর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ১৪৮৫ সালে তিনি যে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে ‘নতুন রাজতন্ত্র’ বা ‘ নব্য রাজতন্ত্র ’ নামে পরিচিত। এটা তিনি সম্ভব করেছিলেন, ইংল্যান্ডের শাসনতন্ত্রে বেশ কিছু অভিনব পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে। যেমন, ১) ব্যারনদের ক্ষমতা হ্রাস :  এর আগে ইংল্যান্ডের রাজপরিবারগুলোর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে সামন্তপ্রভুরা (ব্যারন) নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতেন। সপ্তম হেনরি এদের পরিবর্তে স্পেন, ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের রাজপরিবারগুলির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের নীতি গ্রহণ করেন। ফলে ব্যারনদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ২) সামন্ত প্রভুদের দমন :  ১৪৮৭ সালে তিনি ‘ স্টার চেম্বার আইন ’ পাস করে সামন্তপ্রভুদের ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী রাখার প্রথা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন। ৩) মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মর্যাদা বৃদ্ধি : সরকারি উচ্চপদ ও মন্ত্রীপদে অভিজাত সামন্তদের নিয়োগ না করে তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে উচ্চপদে নিয়োগের নীতি গ্রহণ করে

ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য

ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য মেকিয়াভেলি হচ্ছেন একজন আদি-আধুনিক (Early Modern) রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। জন্ম ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে,  ১৪৬৯ সালে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কৃতি নাট্যকার, ঐতিহাসিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি প্রতিষ্ঠার কারণে তিনি ‘ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক ’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। মেকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্য : নিকোলো মেকিয়াভেলি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ দ্য প্রিন্স ’-এ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।     ১)  মানব প্রকৃতি : ‘দা প্রিন্স’ গ্রন্থে ম্যাকিয়াভেলি মানুষকে একটি আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, লোভী, সুবিধাবাদী ও ন্যায়নীতিবোধহীন চরিত্ররূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই কারণে মানুষে মানুষে বিবাদ ও সংঘর্ষ দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।     ২)  ধর্ম ও নীতিবোধ :   ম্যাকিয়াভেলি ধর্ম ও নীতিবোদের সঙ্গে রাষ্ট্রনীতির পার্থক্য সুস্পষ্ট করেছেন।  তাঁর মতে শাসক তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস ও নীতিবোধের উর্ধ্বে উঠে কঠোরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।     ৩)  রাষ্ট্রক

আলাউদ্দিন খলজি কী একজন ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন?

আলাউদ্দিন খলজি কী ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন? আলাউদ্দিন খলজি কী একজন ধর্মনিরপেক্ষ সুলতান ছিলেন? আলাউদ্দিন খলজী ছিলেন সুলতানি যুগের খলজি রাজবংশের সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য তিনি ইতিহাসে খ্যাতি লাভ করে আছেন। ‘তারিখ-ই-ফিরোজশাহী’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, তিনি রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতিকে দুটি স্বতন্ত্র বিষয় বলে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ শাসকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখা এবং রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রয়োজনে উপেক্ষা করা। কোন শাসক কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করলে তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ধর্মাশ্রয়ী শাসক বলা হয়। 🔖এ প্রসঙ্গে আরও পড়ো :  ধর্মশ্রয়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য এদিক থেকে বিচার করলে আলাউদ্দিন খলজির শাসন ধর্মাশ্রয়ী ছিল না। কারণ, বেয়ানার কাজী ও বিশিষ্ট কোরআন বিশারদ মুঘিসউদ্দিন একসময় অভিযোগ করেছিলেন সুলতানের কার্যকলাপ শরীয়তের আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে না। এই অভিযোগের উত্তরে আলাউদ্দিন খলজী বলেছিলেন,  আমি অন্য কোন আইন জানিনা, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আমি যা প্রণয়ন করি, আমার কাছে সেট

টমাস ক্রমওয়েলের কার্যাবলী মূল্যায়ন

টমাস ক্রমওয়েলের কার্যাবলী / সংস্কারগুলোর মূল্যায়ন করো। টমাস ক্রমওয়েলের কার্যাবলী মূল্যায়ন ইংল্যান্ডের টিউটর বংশের রাজা অষ্টম হেনরির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন টমাস ক্রময়েল। ‘ নব্য রাজতন্ত্রে ’ রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধিই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ (সংস্কার) করেছিলেন। এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে টমাস ক্রমওয়েল যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছিলেন, তা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে ‘ টিউডর বিপ্লব’ নামে পরিচিত। টমাস ক্রমওয়েল বিভিন্ন পদক্ষেপ / সংস্কার : বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান :   অষ্টম হেনরির কোন পুত্রসন্তান ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তিনি অ্যানবোলিন নামে এক মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ও পোপের অনুমোদন ছাড়া এই বিবাহ বৈধ নয়। কিন্তু পোপ বিবাহবিচ্ছেদে অনুমোদন দিতে অস্বীকার করলে সমস্যা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ক্রমওয়েল রাজার পুনর্বিবাহের অনুকূলে আইন (‘ অ্যাক্ট অব অ্যাপিলস’ ) প্রণয়ন করে এই সমস্যার সমাধান করেন। রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধি :   রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একাধারে তিনি পাঁচটি আইন পাশ করেন।  ‘অ