সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মিশরের রানি ক্লিওপেওট্রার কার্যাবলী

রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মিশরের রানি ক্লিওপেওট্রার কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো। ক্লিওপেট্রা : ক্লিওপেট্রা ছিলেন প্রাচীন মিশরের টলেমি রাজবংশের একজন কিংবদন্তী নারী, রাজকন্যা ও শাসক। প্রাচীন বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়েকজন নারী নিজ প্রতিভাগুণে অমর হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দ্বাদশ টলেমির কন্যা সপ্তম ক্লিওপেট্রা , যিনি ক্লিওপেট্রা নামেই পৃথিবীর ইতিহাসে পরিচিতি পেয়েছেন।  সহ-শাসক ক্লিওপেট্রা : গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তাঁর অন্যতম সেনাপতি টলেমি মিশর আক্রমণ করেন এবং সেখানে টলেমি বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই বংশের দ্বাদশ টলেমির কন্যা ছিলেন ক্লিওপেট্রা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে পিতার সঙ্গে সহ শাসক হিসাবে মিশরের শাসন পরিচালনায় হাত দেন ।  ক্লিওপেট্রার সিংহাসন লাভ : তৎকালীন প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একাকী কোন শাসক শাসন কাজ পরিচালনা করতে পারতেন না। তাই পিতার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং মিশরের সিংহাসনে নিজ দখলে রাখেন।  ক্লিওপেট্রা ও রোমান আক্রমণ : সিংহাসন লাভের কয়েক বছরের মধ্যে খ্রীষ্টপূর্বা ৪৭ অব্দে  রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিশর  আক্রমণ করেন। এই

প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থান

 প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থানের ওপর একটি প্রবন্ধ রচনা করো। সমাজে নারীর অবস্থান : প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমের মত ভারতীয় নারীরাও সমাজে বিশিষ্ট স্থান অধিকার লাভ করেছিল। তবে তা মূলত উচ্চশ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।  ঋগবৈদিক যুগে নারীর অবস্থান :  নারীর গুরুত্ব : পুত্র সন্তান কাম্য হলেও নারীরা মেটেও অবহেলিত ছিল না।  নারী শিক্ষা : নারীরা যথেষ্ট শিক্ষার সুযোগ লাভ করেছিল। এ যুগের উল্লেখযোগ্য বিদুষী নারী ছিলেন - লোপমুদ্রা, ঘোষা, অপলা মমতা প্রমুখ। বেদ পাঠের অধিকার : এই সময় নারীদের বেদ পাঠের অধিকার ছিল বলেও জানা যায়। এমনকী বেদের স্তোত্র রচনায় অংশ নিয়েছিল বলে জানা যায়।  পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর অবস্থান : নারীর গুরুত্ব হ্রাস : এই সময় নারী বেদ পাঠের অধিকার হারায়।  নারী শিক্ষা উপেক্ষিত : তৈত্তিরীয় সংহিতায় নারী শিক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানান হয়। ফলে নারী শিক্ষা ব্যাহত হয়। তা সত্ত্বেও এ সময় কোন কোন নারী উচ্চশিক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। যেমন, গার্গী, মৈত্রেয়ী প্রমুখ।  প্রতিবাদী আন্দোলনের যুগে নারীর অবস্থান : নারী শিক্ষা : বৌদ্ধ গ্রন্থ বিনয়পিটক থেকে জানা যায় এই সময় নারীদের বিদ্যা শিক্ষাকে স্বীকৃতি

স্পার্টার স্বাধীন নাগরিকদের সঙ্গে ক্রীতদাসদের (হেলট) সম্পর্ক

স্পার্টার স্বাধীন নাগরিকদের ( স্প্যার্টিয়েট ) সঙ্গে হেলট ও পেরিওকয়দের সম্পর্ক  প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্র স্পার্টার স্বাধীন নাগরিকদের ( স্প্যার্টিয়েট ) সঙ্গে হেলট ও পেরিওকয়দের সম্পর্ক কেমন ছিল? স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক ও ক্রীতদাস : প্রাচীন গ্রিসের একটি গুরুত্বপুর্ণ পলিস হল স্পার্টা। স্পার্টার সমাজ কাঠামোয় তিন শ্রেণির মানুষ বসবাস করত। এরা হল - স্প্যার্টিয়েট, হেলট বা কৃতদাস এবং পেরিওকয় বা অর্ধ-স্বাধীন নাগরিক।       ** ১) স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক : স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক বলা হত স্প্যার্টিয়েট।  এরা প্রচুর জমিজমার মালিক হত এবং এদের একমাত্র পেশা ছিল সৈনিক হিসাবে কাজ করা। ২) অর্ধ-স্বাধীন নাগরিক : স্পার্টার অর্ধ-স্বাধীন প্রজাদের বলা হত পেরিওকয়। এরা শাসকগোষ্ঠীর রাজকীয় জমিজমা চাষ, শিল্পোৎপাদন ও বাণিজ্যের কাজে নিয়োজিত হত। ৩) স্পার্টার ক্রীতদাস :  এবং হেলট হল স্পার্টার ক্রীতদাস শ্রেণি। এরা সমাজের সবচেয়ে নির্যাতিত ও শোষিত শ্রেণি। ঐতিহাসিক অ্যানড্রুজ বলেছেন, স্পার্টার হেলটরা ছিল পুরোপুরি ক্রীতদাস। স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক ও ক্রীতদাসদের সম্পর্ক : স্পার্টার স্বাধীন নাগরিক বা স্প্যার্টিয়েটদের সঙ্গে

প্রাচীন গ্রিসের সমাজে দাস ও দাস-প্রভুর সম্পর্ক

 প্রাচীন গ্রিসের সমাজে দাস ও দাস-প্রভুর সম্পর্ক কেমন ছিল? প্রাচীন গ্রিসের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী, ক্রীতদাস হল এক ধরণের মানব সম্পদ, যা প্রকৃতির বিধান অনুযায়ী তার প্রভুর মানিকানাধীন থাকতে বাধ্য এবং প্রভু তার নিজের ইচ্ছামত তাকে ক্রয়, বিক্রয় কিম্বা বিভিন্ন উৎপাদন কর্মে কাজে নিয়োগ করতে পারে। অর্থাৎ দাস হল একধরণের মনুষ্য-সম্পদ এবং দাস-প্রভু হল তার মালিক।  দাস ও দাস-প্রভুর সম্পর্ক :  গভীর সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই সম্পর্কের দুটি মুখ লক্ষ্য করা যায়। একটি সুসম্পর্কের অন্যটি নির্যাতনমূলক।  সুসম্পর্কের দিক : প্রভু-ভৃত্যের এই সম্পর্ক কখনও কখনও খুবই মধুর হয়ে উঠত। প্রভুর অধীনস্ত দাসরা অনেক সময় স্বাধীন বা বিদেশী শ্রমিকদের সঙ্গে এমনভাবে কাজ করতে পারত যে তাদের আলাদাভাবে দাস হিসাবে চেনা যেত না।  অনেক সময় দাস ও দাস-প্রভু এক সঙ্গে বসবাস করত। এমনকী এক টেবিলে বসে আহার করার নজিরও রয়েছে। এই ধরণের সম্পর্কের কারণে অনেক সময় দেখা যেত দাস তার প্রভুর জীবন রক্ষার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করতেও দ্বিধা করছে না।  এই ধরণের সম্পর্কের কারণে দাস-প্রভুও তার অধীনস্ত দাসকে পুরস্কৃত করত। ঐতিহাসিক ফিনলে এই ধরণের দাসকে অ

প্রাচীন গ্রিসে ক্রীতদাস প্রথা ও তাঁর উৎপত্তি

ক্রীতদাস বলতে কী বোঝ? প্রাচীন গ্রিসে কীভাবে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত? ক্রীতদাস : ক্রীতদাস কাদের বলা হবে, এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ডিও ক্রাইসস্টম ক্রীতদাসদের গবাদি পশুর সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, গবাদি পশু যেমন তাঁর প্রভুর সম্পত্তি, ঠিক তেমনি ক্রীতদাস হল একজন প্রভুর ব্যক্তিগত সম্পত্তি, যা তিনি ইচ্ছামত বিক্রয় কিম্বা কোন উৎপাদনের কাজে লাগাতে পারে।  প্রখ্যত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলছেন, ক্রীতদাস হল এমন এক সত্তা যার কোন পৃথক বা স্বাধীন অস্তিত্ব নেই। প্রভুর মালিকানাধীনে থাকার ওপরই তার অস্তিত্ব নির্ভর করে এবং এটাই প্রকৃতিরই বিধান। সুতরাং প্রাচীন গ্রিসের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী, ক্রীতদাস হল এক ধরণের মানব সম্পদ, যা প্রকৃতির বিধান অনুযায়ী তার প্রভুর মানিকানাধীন থাকতে বাধ্য এবং প্রভু তার নিজের ইচ্ছামত তাকে ক্রয়, বিক্রয় কিম্বা বিভিন্ন উৎপাদন কর্মে নিয়োগ করতে পারে। ক্রীতদাস প্রথা : প্রাচীন গ্রিসের সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত এবং আইনি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসদের ক্রয়, বিক্রয় ও প্রভুর নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে উৎপাদন কিম্বা সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োগ করার অধিকার সম্বলিত সামাজিক প্রথার নাম ক্রীত