সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ।

কোয়াটারনারি যুগের সময়কাল ও বৈশিষ্ট্য আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে  কোয়াটারনারি যুগ  বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে তুষার যুগ (Ice Age) বর্তমান ছিল।  ২) বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বহু প্রজাতির প্রাণী   বিলুপ্ত হয়ে যায়।   মাটির বর্তমান গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়,  আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয় এবং মানব সভ্যতার সূচনা হয়। ৩) মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমাজবদ্ধ হওয়ার চিন্তা দানা বাঁধে, ফলে পাথরের হাতিয়ার তৈরি করে,   কৃষি কাজের কৌশল আবিষ্কার, আগুনের ব্যবহার শেখে,  রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা  করে। মানুষ ধাতুর ব্যবহার শেখে এবং নগর সভ্যতার সূচনা হয়। ----------x-------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ  ১) কোয়াটারনারি যুগ বলতে কী বোঝ? এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ । (প্রশ্নের মান - ৮)

টারসিয়ারি যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ।

টারসিয়ারি যুগের সময়কাল ও এই যুগের বৈশিষ্ট্য ঃ আজ থেকে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া এবং ২০ লক্ষ বছর পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে টারসিয়ারি যুগ বলে। এই যুগের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঃ ১) এই যুগে পৃথিবীর উপরিভাগে ব্যপক পরিবর্তন ঘটে।  ভুভাগে পর্বতমালাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক গঠনগুলি সম্পূর্ন হয়। ২) এই সময় মানব প্রজাতির বিভিন্ন প্রাইমেট বা পূর্বপুরুষের আবির্ভাব ঘটে। ------------x--------- এই বিভাগের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে   এখানে ক্লিক করো । Period of Tertiary Era and characteristics of this period: The period, which was beginning about 6.5 million years ago and extending up to 20 million years is called the Tertiary Era . The main features of this era are: 1) During this period, there was a great change in the earth's surface. Other natural formations including mountains were completed on the surface. 2) During this time various primates or ancestors of human species appeared. ------------x---------

নবজীবীয় যুগকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

নবজীবীয় যুগের শ্রেণি বিভাগ আজ থেকে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে শুরু হওয়া এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালকে নবজীবীয় যুগ বলে। এই যুগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - ১) টারসিয়ারি যুগ (৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর - ২০ লক্ষ বছর পর্যন্ত) ২) কোয়াটারনারি যুগ ( ২০ লক্ষ বছর - আজ পর্যন্ত) ---------x-------- মনে রেখো  ঃ এই প্রশ্নে বিভিন্ন যুগের সময়কাল চাওয়া হয়নি। তাই  পরীক্ষার খাতায় বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া সময়কাল উল্লেখ করার দরকার নেই ।  মনে রাখার ও বোঝার সুবিধার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। এই বিভাগের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । Cenozoic age class division The period, which was beginning about 65 million years ago and extending to the present day is called the  Cenozoic  Age . This era is divided into two parts. Namely – 1) Tertiary Age (up to 65 million years - 200 million years) 2) Quaternary Era (200 million years - till date) ---------x-------- Note: This question does not ask for the duration of different eras. Hence there is no need to mention the period given in brackets in the answer sheets.

গঠনগত চরিত্র ও প্রাণের বিকাশের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সময়কালকে (যুগকে) কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী?

গঠনগত চরিত্র ও প্রাণের বিকাশের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সময়কালকে (যুগকে) কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী? পৃথিবীর গঠনগত চরিত্র ও প্রাণীর বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ভূবিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর সমগ্র সময়কালকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো : ১) আর্কিওজোয়িক যুগ ( ৮২ কোটি বছর আগে - পৃথিবী সৃষ্টির শুরু পর্যন্ত) ২) প্রটেরোজোয়িক যুগ ( ৫০ কোটি বছর আগে - ৮২ কোটি বছর পর্যন্ত) ৩) পুরাজীবীয় যুগ ( ২০ কোটি বছর আগে - ৫০ কোটি বছর পর্যন্ত) ৪) মধ্যজীবীয় যুগ ( ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে - ২০ কোটি বছর পর্যন্ত) ৫) নবজীবীয় যুগ ( বর্তমান সময় - ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পর্যন্ত) ----------x---------- মনে রেখো  ঃ এই প্রশ্নে বিভিন্ন যুগের সময়কাল চাওয়া হয়নি। তাই পরীক্ষার খাতায় বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া সময়কাল উল্লেখ করার দরকার নেই ।  মনে রাখার ও বোঝার সুবিধার জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। নবজীবীয় যুগের শ্রেণি বিভাগ দেখো এখানে ক্লিক করে । Division of earth ages based on structural character and development of life Various geologists and anthropologists have divided the whole period of the earth into five periods,

জীবাশ্ম কী? উদাহরণ দাও।

জীবাশ্ম কী? দুটি উদাহরণ দাও। জন্মলগ্ন থেকে পৃথিবীর আবহাওয়া বারবার পাল্টেছে। উষ্ণ যুগের পর হিম যুগ এবং হিম যুগের পর আবার উষ্ণ যুগ এসেছে। এই ভাবে বারবার হিম যুগ ফিরে আসার ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ কুলের একটা বড় অংশ বিলুপ্ত হয়ে মাটি বা বরফের নিজে চাপা পড়ে যায়। এই চাপা পড়া দেহগুলো মাটির চাপ ও তাপে ক্রমশ ছাপ যুক্ত পাথরে পরিণত হয়। এই ছাপযুক্ত পাথরকে জীবাশ্ম বলে।  উদাহরণ, ভারত ও কেনিয়ার রামাপিথেকাস , চিনের পিকিং মানব উল্লেখযোগ্য জীবাশ্ম। 

প্রাচীন যুগের ইতিহাসের প্রত্নতাত্বিক উপাদান ও শ্রেণি বিভাগ

প্রাচীন যুগের ইতিহাসের প্রত্নতাত্বিক উপদগুলো কয়ভাগে বিভক্ত ও কী কী? প্রাগৈতিহাসিক ও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রত্নতাত্বিক উপাদান। এই প্রত্নতাত্বিক উপদনগুলোকে চারভাগে ভাগ করা হয়।  ১) জীবাশ্ম, ২) প্রাচীন মানুষের ব্যবহার্য হাতিয়ার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি, ৩) গুহাচিত্র, ৪) প্রাচীন সমাধি ও মন্দিরের ধংসাবশেষ  ----------🙏--------- এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে   এখানে ক্লিক করো । 

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগকে যুগসন্ধিক্ষণ বলা হয় কেন?

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগকে 'যুগসন্ধিক্ষণ' বলা হয় কেন? প্রায়-ইতিহাসের যুগকে (Proto Historic Age) 'যুগসন্ধিক্ষণ' (Transition Period) বলা হয়। কারণ, এই সময়কালের মধ্যে মানব সমাজে একদিকে সাহিত্যের আগমন ঘটে, অন্যদিকে ঐতিহাসিক লেখালেখির উদ্ভব ঘটে। মানুষ মৌখিক ঐতিহ্যকে নির্ভর করে লিখিত ঐতিহ্যের দিকে অগ্রসর হয়।  অন্যভাবে বলা যায়, এই যুগটি ছিল প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক যুগের সন্ধিক্ষণে বা মধ্যবর্তী সময়ে। ----------🙏--------- এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো । 

হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রাগৈতিহাসিক যুগের যুগ বিভাজন

হাতিয়ারে বিবর্তনের ভিত্তিতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের যুগ বিভাজন প্রাচীন মানুষের  হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি  করে প্রত্নতাত্বিকরা প্রাগৈতিহাসিক যুগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন। ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ ২) মধ্য প্রস্তর যুগ ৩) নব্য প্রস্তর যুগ ৪) তাম্র-প্রস্তর যুগ ৫) লৌহ যুগ।  লক্ষ্যণীয় : পাথরের হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি বা বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রাগৈতিহাসিক যুগকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । বিস্তারিত জানো 👉 এখানে ক্লিক করে ।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করো ।

নব্য প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ট লেখো।

নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল উল্লেখ করো। এই সময়ের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট লেখো। নব্য প্রস্তর যুগ : প্রাগৈতিহাসিক যুগের শেষ পর্বকে বলা হয় নব্য প্রস্তর যুগ বা Neolithic Age । এই পর্বে আদিম মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে ক্রমশঃ  খাদ্য উৎপাদক শ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়। আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 4000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে নব্য প্রস্তর যুগ বলা হয়। নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগের মানুষ খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। অর্থাৎ কৃষি কাজের সূচনা হয়। ২) পশু শিকারের সাথে সাথে পশুপালনের সূচনা হয়। ৩) হাতিয়ার গুলি খুবই সূচালো, ধারালো ও ক্ষুদ্র আকারের হয়। ৪) চাকার ব্যবহার শুরু হয় ৫) প্রথম আগুন জ্বালানোর কৌশল আবিষ্কার করে  ৬) যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থায়ী বসতি গড়ে উঠতে থাকে। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

মধ্য প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ঠ লেখো।

মধ্য প্রস্তর যুগ কোন সময়কে বলা হয়? এই যুগের বৈশিষ্ঠ লেখো।  মধ্যপ্রস্তর যুগ প্রাগৈতিহাসিক যুগের দ্বিতীয় পর্বকে মধ্যপ্রস্তর যুগ বা Mesolithic Age বলা হয়। এই পর্বের মানুষ পাথরের যে অস্ত্র ব্যবহার করতো তা প্রাচীন প্রস্তর যুগের তুলনায় বেশ কিছুটা উন্নত এবং আকারে ক্ষুদ্র।  মতপার্থক্য থাকলেও মোটামুটি ভাবে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০০ থেকে ১০০০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়কে মধ্য প্রস্তর যুগ বলে ধারা হয়। মধ্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগের পাথরের হাতিয়ার গুলি প্রাচীন প্রস্তর যুগের তুলনায় উন্নত এবং আকারে ছোট। ২) এদের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করা। ৩) এই যুগে যাতায়াতের কাজে কুকুরে টানা স্লেজ গাড়ির ব্যবহার জানত। এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও তার বৈশিষ্ঠ লেখো।

  প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো। প্রাচীন প্রস্তর যুগ প্রাচীন পাথরের যুগ বলতে মানব সভ্যতার বিবর্তনের ধরার এমন এক পর্যায়কে বোঝানো হয়, যেখানে মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে হাতিয়ার হিসাবে প্রধানত পাথরকেই প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার শুরু করে। তবে গাছের ডাল, কাঠের টুকরো, এমনকী মৃত প্রাণীর হাড়ও হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হত। প্রাচীন প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) মানুষের ব্যবহৃত পাথরের হাতিয়ারগুলো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল, অর্থাৎ আকারে বড় এবং ভোঁতা। ২) অস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মুগুর, কুঠার, বর্শা, হারপুন, ধনুরবান ইত্যাদি, ৩) জীবিকা ছিল শিকার ও খাদ্য সংগ্রহ, এবং ৪) জীবনযাপন ছিল যাযাবর প্রকৃতির বিকল্প প্রশ্ন : ১) প্রাচীন পাথরের যুগ কাকে বলে? ২) Pala eolithic Age বলতে কী বোঝো? ৩) পুরাপ্রস্তর যুগ কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখ।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ঠগুলো উল্লেখ করো। উদাহরণ দাও।

ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ঠগুলো উল্লেখ করো। উদাহরণ দাও।  ঐতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কালকে বোঝায়, যখন ১) মানুষ লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, ২) তাদের জীবনযাপন প্রণালী, সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিবররণ রেখে গেছেন, এবং সেই সব বিবরণের পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়ছে।  উদাহরণ হিসাবে মিশরিয় ও মেসোপটেমিয়া সভ্যতার কথা বলা যায়।   খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিশরে এবং  খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে ভারতে, (আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময়) এই যুগের সূচনা ধরা হয় । ঐতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য : ১) এই যুগে মানুষের লিপিজ্ঞান ছিল।  ২) এই লিপির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছে, ৩) এই যুগের সময়কাল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূচনা হয়েছে।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো। উদাহরণ দাও।

  প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝ? এর বৈশিষ্ঠ লেখো।  উদাহরণ দাও। প্রাগৈতিহাসিক যুগের শেষ পর্বে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। অর্থাৎ যে সময়কালের মধ্যে মানুষ লিপির ব্যবহার শুরু করে কিন্তু সেই লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি, সেই সময়কালকে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলে।  যেমন : হরপ্পা সভ্যতা র সময়কাল। এই সভ্যতার মানুষ 'সিন্ধুলিপি' ব্যবহার করত, যার পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয় নি।  এই যুগের বৈশিষ্ঠ হল : ১) এই যুগের মানুষ লিপির ব্যবহার করত, ২) কিন্তু এই লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। ৩) এই সময় মানুষ ধাতুর ব্যবহার শুরু করে। ----------🙏---------- মনে রেখো : ভারতের ক্ষেত্রে তাম্র-ব্রোঞ্জ ব্যবহারের সূত্রপাত থেকে লৌহ যুগের সূচনা পর্যন্ত সময়কালকে ' প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ' বলে অভিহিত করা হয়।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ঠ

  প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ঠ লেখো। উদাহরণ দাও। মানব সভ্যতার সূচনাকাল  থেকে লিপির ব্যবহার শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কালকে  প্রাগৈতিহাসিক যুগ  বলা হয়। এই যুগের বৈশিষ্ঠ হল : ১)  এই সময়ের ইতিহাস রচনায় কোন লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না।  ২) শুধুমাত্র প্রত্নতাত্বিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে ইতিহাস লেখা হয়। ৩) এই সময় হোমোস্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়।  এই যুগের দুটি সভ্যতার নাম নিয়ান্ডারথল ও ডেনিসোভান দের সভ্যতা।  এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।

প্রাগৈতিহাসিক যুগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

প্রাগৈতিহাসিক যুগের শ্রেণি বিভাগ  প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথরের তৈরি অস্ত্র। এই অস্ত্রের বা পাথরের হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি লক্ষ্য করে বিশ্লেষণ করে প্রত্নতাত্বিকগণ প্রাগৈতিহাসিক যুগ কে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। যথা : ১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ , ২) মধ্য প্রস্তর যুগ , ৩) নব্য প্রস্তর যুগ । লক্ষ্যণীয় : প্রাচীন মানুষের হাতিয়ারে বিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে প্রত্নতাত্বিকরা প্রাগৈতিহাসিক যুগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন । বিস্তারিত দেখো 👉 এখানে ক্লিক করে ।    আরও পড়ো : ১)   প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈশিষ্ট্য কী ছিলো ?                     ২)  প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো ? এই ধরণের আরও প্রশ্ন ও উত্তর  পেতে  এখানে ক্লিক করো ।